Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অটোরিকশা চালক খুন: দুইজন কারাগারে, একজনের দোষ স্বীকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ জুলাই ২০২১ ২২:১৪

ঢাকা: আদাবর থানাধীন এলাকায় আলমগীর হোসেন ওরফে আলী নামে এক অটোরিকশা চালককে খুনের অভিযোগের মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে ২ জন কারাগারে, একজন রিমান্ড ও দোষ স্বীকার, বাকি দুইজনকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এর আদালত এ সব আদেশ দেন।

এদিন গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার এসআই অপূর্ব কুমার বর্মণ। সাগর, রনি ও রাজন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড, লিটন, মুন্না ও আব্দুল্লাহর সাতদিনে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল সাগরের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে রনি ও রাজন পরবর্তীতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে একই আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। লিটনের দুই দিনের রিমান্ড এবং মুন্না ও আব্দুল্লাহ কিশোর হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তাদের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ৩০ জুন আদাবর থানাধীন ঢাকা উদ্যান বেড়িবাঁধ এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরকাঘাতে আহত হন আলমগীর হোসেন। ঘটনার ৫ দিন পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি আলমগীর ওরফে ছোট আলমগীর ওরফে টমেটো আলমগীরের সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন বিষয়ে বেশ কিছু দিন আগ থেকে ভিকটিম আলমগীরের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।

বিজ্ঞাপন

গত ৩০ জুন আলমগীর হোসেন বড় ছেলে শাহিন আলমকে মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিংয়ে ৭ নং রোডের রশিদিয়া মাদ্রাসায় খাবার দেওয়ার জন্য বাসা থেকে সকাল ১০টায় বের হয়।

ওইদিন বাসায় ফেরার পথে আদাবর থানাধীন ঢাকা উদ্যান বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উড়াল পাখি ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আলমগীরসহ অন্য আসামিরা তার গতিরোধ করে। তাকে কিলঘুষি মারে এবং টেনে হিঁচড়ে সিএনজি থেকে নামানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আলমগীর ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে। প্রাণে বাঁচতে আলমগীর ডাক চিৎকার করে। তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জুলাই দুপুরে মারা যান আলমগীর।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. শাহনাজ বেগম ৬ জুলাই আদাবর থানায় ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

আলমগীর ছুরিকাঘাতে খুন ঢাকা উদ্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর