অলিম্পিকে দর্শকশূন্য থাকবে টোকিও
৯ জুলাই ২০২১ ০০:২৯ | আপডেট: ৯ জুলাই ২০২১ ১০:৩২
আসন্ন ২০২০ অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে যেগুলো জাপানের রাজধানী টোকিও এবং এর আশপাশের শহরে হবে, সেগুলোতে খালি থাকবে গ্যালারি। অর্থাৎ কোনো দর্শকের উপস্থিতি ছাড়াই মাঠে গড়াবে ইভেন্টগুলো। তবে জাপানেরই অন্যান্য এলাকার স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতার অর্ধেক দর্শকের উপস্থিতি রাখা যাবে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের অলিম্পিক বিষয়ক মন্ত্রী তামায়ো মারুকাওয়া। জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজধানী টোকিওসহ আশপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তামায়ো মারুকাওয়া জানিয়েছেন, টোকিওসহ এর আশপাশের শহরে অলিম্পিকের যেসব ইভেন্ট হবে, সেগুলো আয়োজনের সময় স্টেডিয়ামে কোনো দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে ফুকুশিমা, মিয়াগি ও শিজুওকা অঞ্চলগুলোতে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অর্ধেক দর্শক প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে। তবে সেই সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার।
আগামী ২৩ জুলাই থেকে জাপানে শুরু হবে ‘অলিম্পিক গেমস টোকিও ২০২০’ আয়োজনটি। তবে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে এই আয়োজন বাতিল বা অন্তত স্থগিতের দাবি উঠেছিল। কিন্তু সে পথে হাঁটছে না অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর টোকিও অলিম্পিক ২০২০-এর প্রেসিডেন্ট সিকো হাশিমোতো বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে করোনা সংক্রমণের কারণে আমাদের অত্যন্ত সীমিত পরিসরে অলিম্পিকের ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে। যারা টিকেট কিনেছেন এবং স্থানীয় যারা আছেন, তাদের সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
টোকিও গভর্নর উরিকো কোইকে বলেন, দর্শক ছাড়াই অলিম্পিকের ইভেন্টগুলোর আয়োজন হবে হৃদয় বিদারক। তবে এরই মধ্যে এসব ইভেন্টের জন্য যারা টিকেট কিনেছেন, তাদের টিকেট ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি।
এর আগে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় টোকিওসহ আশপাশের এলাকায় ১২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। এই সময়ের মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। বার ও রেস্টুরেন্টগুলোকে অ্যালকোহল বিক্রি করতে না করা হয়েছে এবং রাত ৮টার মধ্যেই এগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর