Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ফায়ার সার্ভিসের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ জুলাই ২০২১ ২৩:৪২

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমানকে।

বাকি সদস্যরা হলেন উপপরিচালক নূর হাসান আহমদ, সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান, উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট ইন্সপেক্টর মো. শাহ আলম।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার প্রকৃত কারণসহ নানা বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে কারখানাটির চার তলায় তালাবদ্ধ করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে কারখানাটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হলেও পরে তা চার, পাঁচ ও ছয়তলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া দুই তলা এবং নিচতলাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ঘটনায় মোট ৫২ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে চারতলা থেকেই ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুডস লিমিটেডের মালিক সজীব গ্রুপ। ফুডস ও বেভারেজ জগতে এই গ্রুপের পণ্যের প্রসার রয়েছে। এদের ৯টি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৃতীয় প্রতিষ্ঠান হলো হাসেম ফুডস লিমিটেড।

আরও পড়ুন
রূপগঞ্জে কারখানায় আগুনে হতাহতের ঘটনায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর শোক
কারখানায় আগুন: ডিএনএ টেস্টের পর মরদেহ হস্তান্তর

যার মরে সেই শুধু বোঝে কত ক্ষতি হলো: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

কারখানায় আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন মারা যান বৃহস্পতিবার। বাকিদের মরদেহ ওই কারখানার চতুর্থ তলা থেকে শুক্রবার (৯ ‍জুলাই) উদ্ধার করা হয়। ওই তলায় তালা লাগানো থাকায় আটকেপড়া মানুষরা বের হতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

যার মরে সেই শুধু বোঝে কত ক্ষতি হলো: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রূপগঞ্জের হাসেম ফুডসের কারখানাটিতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ডেমরা, কাঞ্চন, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৮টি ইউনিট কাজ করে। তা সত্ত্বেও সারারাতে আগুন নেভানো যায়নি। শুক্রবার দিনের বেলা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরপরই কারখানার ভেতরে উদ্ধার তৎপরতা চলে।

আরও পড়ুন-

যার মরে সেই শুধু বোঝে কত ক্ষতি হলো: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানায় আগুনের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

লাশের পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাদের ডিএনএ টেস্ট করার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। তিনি এই ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি হতাহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/একে

আগুন কারখানা ফায়ার সার্ভিস হাসেম ফুডস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর