১০ দিনের মধ্যে আসছে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ভ্যাকসিন
১২ জুলাই ২০২১ ২২:২৮
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে দ্রুতই যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ২৯ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোটের উদ্যোগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় এই ভ্যাকসিনগুলো হবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার, তথা কোভিশিল্ড ব্র্যান্ডের। এছাড়াও এ মাসে শেষের দিকে আরও ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১২ জুলাই) রাতে মন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাবাংলাকে বলেন, আগামী বছরের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে ভ্যাকসিন জোগাড় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে আমার কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন আসবে বলে জানানো হয়েছে আমাকে।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমাদের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনা আছে। কিন্তু ভারতের পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে সিরাম ভ্যাকসিন দিতে পারছে না। তারপরও আমরা করছি, ভারতে সংক্রমণ একটু কমলেই আমাদের কেনা ভ্যাকসিন পাব সিরামের কাছ থেকে। কিন্তু তারপরও আমরা অন্যান্য উৎস থেকে ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছি। তার ফল হিসেবে আগামী দেড় মাসেই বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসতে যাচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহেও কোভ্যাক্স থেকে দেশে ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে দেশে। আমাদের অনেকেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের এক ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি। তাদের কথা জানিয়ে আমরা কোভ্যাক্সকে মেইল করেছিলাম। তাতে সাড়া দিয়ে তারা আমাদের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেবে বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহের দিক থেকে এখন আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি।
আগামী আট থেকে ১০ মাসের মধ্যে দেশে সাত কোটি ভ্যাকসিন আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ কোভ্যাক্স থেকে প্রায় সাত কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা পাব। এতে আমাদের ভ্যাকসিনের যে চাহিদা রয়েছে, তা অনেকটা পূরণ হয়ে যাবে। ফলে এখন যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে, আশা করি তাতে আর ছেদ পড়বে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, এ মাসের শেষের দিকে চীনের সিনোফার্মের ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে বলে আশা করছেন। এছাড়া আগস্টের শুরুর দিকে ফাইজারের ৬০ লাখ ভ্যাকসিন আসার প্রক্রিয়াও চলছে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর