করোনা ঠেকাতে উল্টো পথে হাঁটছে সরকার: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
১৪ জুলাই ২০২১ ০০:১৪
ঢাকা: কঠোর বিধিনিষেধের পর হঠাৎ অপরিকল্পিতভাবে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করে তোলার গুরুতর আশঙ্কা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। এতে তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকার উল্টো পথে হাঁটছে।
‘কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন ভয়ানক ঊর্ধ্বগতিতে—তখন তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি আত্মঘাতী ও বিপজ্জনক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মতামত ও সুপারিশ অগ্রাহ্য করে ১৫ জুলাই থেকে সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ফলে দেশের জনগণ যে আরও বিপদগ্রস্ত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই’—বলেন সাইফুল হক।
তিনি বলেন, ‘শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরিবর্তে উল্টো আগামী কয়েকদিন সামাজিক মেলামেশার মধ্য দিয়ে গোটা বাংলাদেশই করোনার হটস্পটে পরিণত হবে এবং মানুষের সংক্রমনজনিত প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে। বোঝা যাচ্ছে সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার উল্টো পথে হাঁটছে’।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আগামী দুই-তিন সপ্তাহ সময়কে যখন বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তখন সরকারের এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের যুক্তি কোথায়? তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, একটি দুর্যোগকালীন সময়ে অভাবী মানুষের দায়িত্ব নিতে না পারায় সরকার এখন দেশের মানুষকে আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিয়েছে। সরকারের এসব হঠকারী পদক্ষেপের অর্থ হচ্ছে, যে যেভাবে পারো বাঁচো। এটা সরকারের দায়িত্বহীনতার আরও একটি উদাহরণ’।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনের পাশাপাশি নিশ্চয়ই জীবিকা রক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে। মহামারির এই সময়ে জীবিকা রক্ষায় সরকারের বহুমাত্রিক ভূমিকা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যে এই দুর্যোগকালে সরকারকেই অভাবী সাধারণ মানুষের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাছে খাদ্য ও নগদ অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি ‘স্বেচ্ছাচারী পন্থায়’ অপরিকল্পিতভাবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম আরও জোরদার করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার তাগিদ দেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই