পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন ড. শামসুল আলম, শপথ রোববার
১৬ জুলাই ২০২১ ০৯:২৩
ঢাকা: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক হওয়া সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। আগামী রোববার (১৮ জুলাই) রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করানো হবে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভিত্তিতে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ড. শামসুল। গত ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে ড. শামসুল আলম নিজেই সারাবাংলাকে তার প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ ও শপথের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন-
- ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নেই আসবে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- পরিকল্পনায় আমরা সুদূরে দৃষ্টি দিতে পারতাম না, এখন পারি
- আরো ৩ বছরের জন্য পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্বে ড. শামসুল আলম
- করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
ড. শামসুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিইডিতে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটি আমি সূচারুরূপে পালন করেছি। তিনি আমাকে নতুন যে দায়িত্ব দিচ্ছেন, তার বিশ্বাস ও আস্থা রেখে সেই দায়িত্বও আমি শতভাগ পালন করার বিষয়ে আশাবাদী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রধান কাজ হবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর অধ্যাপনা করেছেন ড. শামসুল আলম। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় চাকরি করেছেন। ২০০৯ সালের ১ জুলাই তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব পদমর্যাদায়) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর দফায় দফায় তার নিয়োগের মেয়াদ বেড়েছে। সব মিলিয়ে এক যুগ তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ক্যাডার সার্ভিসের বাইরে প্রথমবারের মতো সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয় তাকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে গত এক যুগে সরকারের সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন ড. শামসুল আলম। সরকারের টানা তিন মেয়াদের ভিশনারি পরিকল্পনাগুলোর সঙ্গেও নিবিড়ভাবে যুক্ত। ষষ্ঠ, সপ্তম ও চলমান অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ একাধিক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন তিনি।
সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী তার প্রণয়ন করা দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১) সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস করে ‘দিন বদলের পদক্ষেপ’ ২০১১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ‘রূপকল্প ২০১০-২০২১’ তার তত্ত্বাবধানে তৈরি। বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র (২০১১-২০২১) ও সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রের (২০১৫-২০২৫) তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। এছাড়া শতবর্ষী বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ তথা ডেল্টা প্ল্যানও প্রণীত হয়েছে তার হাত ধরে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্থনীতিতে একুশে পদকও লাভ করেছেন ড. শামসুল আলম।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর