ঈদে বাজারে আসবে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট
১৭ জুলাই ২০২১ ১৮:৪২
ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে করোনার কারণে ব্যাংকে অন্য বছরের মতো সর্বসাধারণের মাঝে নতুন টাকা বিনিময়ের সুযোগ রাখা হচ্ছে না।
শনিবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঈদের আগের মাসের বেতন ও বোনাসের টাকা নতুন নোটে পাওয়ার আশা করেন অনেক চাকরিজীবীরা। এছাড়া ঈদের আগে সালামি ও বকশিশের জন্য নতুন টাকা সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি ফিতরা কিংবা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন। এইজন্য প্রতিবছর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় নতুন টাকার জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। এইসব কারণে প্রতিবছর দুই ঈদে নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা থেকে জনসাধারণের জন্য নতুন টাকা বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। গত রোজার ঈদে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট এবং গত বছরের কোরবানির ঈদে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মো. এ কে এম মহিউদ্দিন আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদের আগে বাজারে নতুন নোট ছাড়া হয়। বিশেষ করে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়ার সময় নতুন নোটের বেশ চাহিদা থাকে। এসব চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার ২৫ থেকে ৩০ হাজার কেবাটি টাকা নতুন নোট ছাড়া হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর তার আগের বছরের তুলনায় নতুন নোট ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লেনদেনকালে গ্রাহকরা নতুন টাকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এটিএম বুথেও গ্রাহকরা নতুন টাকা পাবেন। ব্যাংকগুলোর চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নতুন নোট সরবরাহ করা হয়। ব্যাংকগুলোর নতুন নোটের চাহিদা আরও বেশি হলেও আমরা তা দিতে প্রস্তুত। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত নতুন নোট রয়েছে।’
প্রতি বছর ঈদের আগে বাজারে নতুন নোট ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবারও নতুন নোট ছাড়া হবে। এই বছরের নতুন নোটের মধ্যে রয়েছে ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। সাধারণত কোরবানিতে পশু কেনাবেচায় বড় অংকের লেনদেন বেশি হয়। তাই এবার ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বেশি ছাড়া হচ্ছে। পাশাপাশি আগের মতোই সমপরিমাণ পুরাতন নোট বাজার থেকে অপসারণ করা হবে।
২০২০ সালে কোরবানির ঈদেও ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং গত রোজার ঈদে ২০ হাজার কোটি টাকা নতুন নোট ছাড়া হয়েছিল। এ বছর কোরবানির ঈদে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তবে বিশেষ চাহিদা থাকলে বাজারে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, সারা বছর দেশে প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিভিন্ন মূল্যমানের নোট প্রয়োজন হয়। এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রয়োজন হয় দুই ঈদে। তবে এবার করোনার সংকটের কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেশি হচ্ছে।
সারাবাংলা/জিএস/এমও