Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কমলাপুর রেল স্টেশনে বাইরে ভিড়, ভেতরে নীরবতা

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জুলাই ২০২১ ১৪:২১

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বাইরে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় থাকলেও প্ল্যাটফর্মের ভেতরে বিরাজ করছে নীরবতা। করোনা মহামারির প্রকোপ মোকাবিলায় মাস্ক ও টিকেট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা অনলাইন টিকেট ও মাস্ক পরে আসছেন শুধু তাদেরই স্টেশনের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের আটকে দেওয়া হচ্ছে রেলস্টেশনের প্রবেশ পথে।

বিজ্ঞাপন

ফলে স্টেশনের ভেতরের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে বিরাজ করছে নীরবতা। সেখানে নেই কোনো কোলাহল কিংবা যাত্রীদের আনাগোনা, নেই হকারের ‘উৎপাত’ও। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনো বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়নি। এমনকি ট্রেনগুলোতে কোনো অতিরিক্ত বগি বা কোচ সংযোগ করা হয়নি। ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) কমলাপুর থেকে ২৯টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাবে এবং সমসংখ্যাক ট্রেন কমলাপুর প্রবেশ করবে।

এছাড়াও এদিন ৯ জোড়া লোকাল ট্রেন কমলাপুর থেকে আসা-যাওয়া করবে। দুপুর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১২ জোড়া ট্রেন নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর থেকে ছেঁড়ে গেছে এবং প্রবেশ করছে।

মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রেনের সব টিকেট অনলাইনে এবং অর্ধেক আসন খালি রেখে ট্রেন চলাচল করায় অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর চাপ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কোনো যাত্রীকে মাস্ক ও অনলাইন টিকেট ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রবেশ পথের বাইরে শত শত যাত্রী ভিড় করলেও প্ল্যাটফর্মের ভেতরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। কোথাও কোনো ভিড় তো দূরের কথা, বরং যাত্রীই খুঁজে বের করতে হচ্ছে।

স্টেশনে কথা হয় সিলেটে যাওয়ার জন্য স্বপরিবারে এসে ভিড় করা জাফর উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম রেলস্টেশনে এলে বাড়ি যাওয়ার কোনো একটা ব্যবস্থা হবে। কিন্তু এসে দেখি সে সুযোগ নেই। তাই বিকল্প চিন্তা করছি।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, এবার ঈদে আন্তঃনগরের সব ট্রেনের অনলাইনের দেওয়া হলেও লোকাল ট্রেনের টিকেট সরাসরি কাউন্টার থেকেই দেওয়া হচ্ছে। ফলে লোকাল ট্রেনের কাউন্টারে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আবার অনেক মানুষ অনলাইনে টিকেট না কেটেই সরাসরি রেলস্টেশনে চলে আসছেন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এবার সে সুযোগ না থাকায় তারা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বাইরে দাঁড়িয়ে ভিড় করছেন।

স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজকে আমাদের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রীদের বাড়তি চাপের কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব ট্রেন চলছে। কোন যাত্রীকে টিকেট ও মাস্ক ছাড়া স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্কাউটের লোকজন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ কমলাপুর থেকে সারাদেশে ২৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ৯ জোড়া লোকাল ট্রেন আসা-যাওয়া করবে। তবে অর্ধেক আসন খালি রেখে রেল চলাচল করায় যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি। অনেক মানুষ টিকেট ছাড়াই রেলস্টেশনে এসে বাড়ি যাওযার জন্য ভিড় করছেন। আমরা তাদেরকে মাইকিং করে বলছি, তারা যাতে ভিড় না করেন।’ করোনার কারণে এবার ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়নি, এমনকি ট্রেনের বিশেষ কোনো কোচও সংযোজন করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

ঈদুল আজহা কমলাপুর রেল স্টেশন ভিড়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর