কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিনে চট্টগ্রাম ‘গাড়িশূন্য’
২৩ জুলাই ২০২১ ১৯:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিনে চট্টগ্রাম নগরী কার্যত যানবাহন শূন্য আছে। তবে সড়কে জনসাধারণের চলাচল দেখা গেছে। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে নগরীতে জরুরি পণ্য ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিল্প, কল-কারখানাও বন্ধ আছে।
নগরীর প্রবেশমুখে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে আছে। দূরপাল্লার যানবাহন নগরীতে ঢুকতে দেখা না গেলেও ঈদের ছুটি শেষে অনেককে হেঁটে নগরীতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
ঈদুল আজহার তিনদিন ছুটির পর শুক্রবার (২৩ জুলাই) ছিল সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। এ ছাড়া সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে নগরী এবং আশপাশের এলাকায়। ঈদুল আজহার ছুটিতে এবার অন্যান্যবারের মতো নগরী ফাঁকা দেখা যায়নি। দোকানপাট খোলা ছিল, যানবাহন চলাচলও করেছে প্রচুর। কিন্তু শুক্রবার কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিনে নগরী কার্যত ফাঁকা দেখা গেছে।
নগরীর কাজির দেউড়ি, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হাতেগোনা কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চোখে পড়েছে। বিধিনিষেধের আওতায় না থাকায় রিকশা চলাচল ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি। ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরীর প্রধান সড়কেও চলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ঔষধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বিধিনিষেধের আওতায় বাইরে থাকায় সেসব পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন চলতে দেখা গেছে।
কঠোর বিধিনিষেধ কাযর্কর করতে শুক্রবার সকাল থেকেই মাঠে নামে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা নগরীর প্রবেশপথের পাশাপাশি পুরো শহরজুড়ে টহল দিয়েছেন। নগরীর প্রবেশপথ হিসেবে আছে- আকবার শাহ থানার সিটি গেইট, বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু, বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড় এবং চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি কাটিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন আসছেন। তবে অনেকেই আগেরদিন চলে এসেছেন। শাহ আমানত সেতু দিয়ে কেউ কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশায় করে নগরীতে প্রবেশ করেছেন। আর যেসব গাড়ি ঢুকছে সেগুলো সবজি কিংবা অন্যান্য জরুরি পণ্যের গাড়ি। ঈদের ছুটির পর আবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এবং কলকারখানা বন্ধ থাকায় এবার লোকজন নগরীতে এমনিতেই কম।’
নগরীর সিটি গেইট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোস্তফা আল মামুন জানিয়েছেন, সকালে দূরপাল্লার কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে নগরীতে ঢুকেছে। উপজেলা থেকে কোনো বাস নগরীতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে লোকজনকে হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে। আবার গলির ভেতরে পাড়া-মহল্লায় লোকজনের জটলা দেখা গেছে। তবে দোকানপাট বন্ধ আছে। বিধিনিষেধের প্রথমদিনে প্রধান সড়কে পুলিশের কড়া টহল আছে। লোকজনকে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় দেখলে তুলে দিতে দেখা গেছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে