চাঁদার দাবিতে বন্ধ, পুলিশ খুলে দিলো প্রতিবন্ধী তরুণের দোকান
২৫ জুলাই ২০২১ ২২:১৫
ঢাকা: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোবাইল মেরামতের একটি দোকান চালান শারীরিক প্রতিবন্ধী এরশাদ। ওই দোকানের আয় দিয়েই চলে তার সংসার। সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের চাঁদা না দেওয়ায় তার দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স উইং অবগত হলে তারা বিষয়টি হাটহাজারী থানাকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এরশাদের দোকানটি চালু করে দিয়েছে।
রোববার (২৫ জুলাই) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি, মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এরশাদ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওতে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে এরশাদ জানান, তার কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তার দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে হাটহাজারীর একজন ব্যক্তি বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে জানান। ভিডিওটি পরে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামকে পাঠিয়ে তদন্ত করে এরশাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাটহাজারী থানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল হাটহাজারী থানা মির্জাপুর ইউনিয়নের অধীন ওবায়দুল্লাহ নগরের বার্মা কলোনি। এলাকাটি মূলত রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এলাকায় দু’টি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব ছিল। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এরশাদকে একটি পক্ষ ব্যবহার করেছে। সেই পক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরেক পক্ষকে চাপে ফেলতে ইচ্ছা করেই তার দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দাবি রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, কথিত উভয় পক্ষের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে এরশাদের দোকান খুলে দিয়েছে পুলিশ। ভবিষ্যতে তার যেকোনো বৈধ ব্যবসায় বা কাজে কেউ বাধা দিলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও উপস্থিত সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাটহাজারী থানার পক্ষ থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, এরশাদের ব্যবসা চালু রাখা ও চাঁদাবাজিসহ যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে পুলিশ তার পাশে থাকবে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর