সহপাঠীকে যৌন হয়রানি: বুয়েটের তদন্ত কমিটি
২৭ জুলাই ২০২১ ২২:১৯
সহাপাঠীর কাছে এক নারী শিক্ষার্থীর যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার এই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, হেনস্থার শিকার ওই নারী শিক্ষার্থী আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তার পক্ষ হয়ে ওই ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উপাচার্য এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
তবে তদন্ত কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও অন্যান্য সদস্যের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করছে না বুয়েট প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের কমিটি সাধারণত পাঁচ সদস্যের হয়। তবে আমরা কমিটির কারও নাম প্রকাশ করি না, যেন সদস্যরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন।
এর আগে, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১৯তম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উঠে একই ব্যাচের জারিফ হোসাইন ও তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাকিরা হলেন— সালমান সায়ীদ, জারিফ ইকরাম ও জায়ীদ মনোয়ার চৌধুরী।
১৯ ব্যাচের অন্য এক শিক্ষার্থী হাফিজুল হক চৌধুরীর ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত জারিফ হোসাইন ভুক্তভোগী নারী সহপাঠীকে পছন্দ করতেন। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার আহ্বানে সাড়া না দিলে তিনি এক পর্যায়ে তাকে যৌন হয়রানি করতে শুরু করেন। আর এর পেছনে ইন্ধন দিয়েছেন জারিফের তিন বন্ধু।
জানা যায়, জারিফ ও তার সেই তিন বন্ধু মিলে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলেন। ওই গ্রুপেই মেয়েটিকে যৌন হয়রানি করার বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়। তারই সূত্র ধরে মেয়েটিকে একের পর এক নিজের অর্ধনগ্ন ছবি পাঠাতে থাকেন জারিফ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাফিজুল হক চৌধুরীর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক সমালোচনা জন্ম দিয়েছে।
সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর