তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩৯ মৃত্যু, সংক্রমণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫২৭১
২৯ জুলাই ২০২১ ১৯:০৫
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। গত মঙ্গলবার ও সোমবার যথাক্রমে ২৫৮ জন ও ২৪৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ২৫৫।
একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২৭১ জনের শরীরে। এটি এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। গতকাল বুধবার এক দিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এক দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এক দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে পাঁচ দিন ধরে টানা দুই শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। আর এই পাঁচ দিনে মারা গেলেন ১ হাজার ২০৯ জন। আর সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২০ হাজার ২৫৫ জনে। এখন পর্যন্ত সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২৩ জন, নারী ১১৬ জন। তাদের মধ্যে বাসায় ১৫ জন ও বাকি ২২৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ২৩৯ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১২৩ জন। এর মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৬৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৪৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৪ জন ও ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ছিলেন এক জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী তিন জন মারা গেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। এই সময়ে একশ বছরের বেশি বয়সী কেউ মারা যাননি, তবে ১০ বছরের কম বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, একই সময়ে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৬ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ জন খুলনা বিভাগের। এছাড়া বরিশাল ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ১৪ জন করে, ১৩ জন মারা গেছেন রাজশাহী বিভাগে, ১১ জন রংপুর বিভাগে। আর ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৯ জন।
এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬৪৩টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ২৭১টি, পরীক্ষা হয়েছে ৫২ হাজার ২৮২টি। এটি একটি তৃতীয় সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা। এর আগে গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৮৭৭টি ও আগের দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৪৭৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ১৫ হাজার ২৭১টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এটি এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এর আগে গতকাল বুধবার একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল।
এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়তে বাড়তে ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।
বেড়েছে সুস্থতা
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যাও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিন ১৩ হাজার ৪৭০ জন সুস্থ হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সারাবাংলা/টিআর
