Thursday 31 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পার্টির নামে বাসায় ডেকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন পিয়াসা-মৌ: ডিবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ আগস্ট ২০২১ ০২:৫৬

ঢাকা: ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধানে দুই মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ ওরফে মৌ আক্তারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পিয়াসার বারিধারার বাসা ও মৌ আক্তারের মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যও গ্রেফতার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, পিয়াসা ও মৌ মূলত একই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। মডেলিংয়ের নামে তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর পার্টি করার নাম করে তাদের বাসায় ডেকে নিতেন। সেখানে মদ-ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক খাইয়ে ‘আপত্তিকর’ ছবি তুলতেন। পরে সেগুলো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা বা নানা সুবিধা আদায় করতেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মৌয়ের বাসার নিচে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্র্য আইনে এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে আলাদা মামলা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন-

এর আগে, রোববার রাতে পিয়াসার বারিধারার ধারায় অভিযানে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই বাসা থেকে পিয়াসাকে আটক করা হয়। সেখান থেকে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সীসা জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে, রোববার দিবাগত মধ্যরাতে মৌ আক্তারের মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসায় অভিযান শুরু করে ডিবি। পরে রাত সোয়া ১টার দিকে তাকে আটকের তথ্য জানানো হয়। তার বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করে ডিবি।

মৌ আক্তারকে আটকের পর ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘তারা দু’জন (পিয়াসা ও মৌ) একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্ল্যাকমেইলের অনেক অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। দু’জনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া গেছে। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।’

বিজ্ঞাপন

মডেল পিয়াসার বাসা থেকে জব্দ হওয়া মদের বোতল

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা দিনের বেলা ঘুমাতেন, রাতে উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন। তাদের কাজই ছিল উচ্চ পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে পার্টির নামে তাদের বাসায় ডেকে আনা। এরপর মাদক খাইয়ে তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও তুলে রাখতেন। পরে সেসব ভিডিও-ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠাবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

আটক দু’জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে হারুন-অর-রশীদ বলেন, বাসায় মাদক পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা আলাদা মামলা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ থাকায় সে অভিযোগে আলাদা মামলা হবে। এসব মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করব আদালতে।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ব্ল্যাকমেইল মৌ আক্তার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

মোস্তাফিজকে রাখল না চেন্নাই
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৯

আরো

সম্পর্কিত খবর