Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জুলাইয়ে ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৪৫২ জন, মৃত্যু ৮

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ আগস্ট ২০২১ ১০:১৫

ঢাকা: দেশে করোনা সংক্রমণের ১৭ মাসের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল গত জুলাই। সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যু সংখ্যা থেকে শুরু করে প্রতি ঘণ্টার পরিসংখ্যানেও জুলাই মাসে ছিল এগিয়ে। এ মাসে প্রতি ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮.৩০ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের পর ৩১ জুলাই পর্যন্ত কেটে গেছে ৫১১ দিন। জুলাই মাসের আগ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসের রেকর্ড। এ মাসে ঘণ্টায় এক হাজার ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৫ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গড়ে প্রতি ঘণ্টায় মারা যায় ৩ দশমিক ৩৩৮ জন। জুলাইয়ে এসে ঘণ্টায় এক হাজার ৫২১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫১ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। প্রতি ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৮.৩০ জন। অর্থাৎ দেশে এপ্রিল মাসের তুলনায় ১.৪২ গুণ বেশি নমুনা পরীক্ষা করে জুলাই মাসে প্রতি ঘণ্টায় ২.২৭ গুণ বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একইসঙ্গে এপ্রিল মাসের তুলনায় জুলাই মাসে প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে গড়ে ২.৫৭ গুণ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নিয়মিত বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, দেশে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে ২০ হাজার ৬৮৫ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ বাড়ায় মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে। বৃদ্ধদের পাশাপাশি এখন তরুণদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু বাড়ছে। অনেকে করোনা সংক্রমিত হলেও হাসপাতালে যেতে দেরি করছেন। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হওয়ার কারণেও মৃত্যু বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি পালনে অনীহা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

তারা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। চাপ পড়বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওপর। শুধু চিকিৎসা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, জোর দিতে হবে সংক্রমণের উৎস নিয়ন্ত্রণে।

ভয়ংকর জুলাই মাস

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের পরে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক হিসেবে আগের সব সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গেছে ২০২১ সালের জুলাই মাসে। দেশে জানুয়ারিতে ২১ হাজার ও ফেব্রুয়ারিতে ১১ হাজারের ঘরে নেমে আসে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। তবে মার্চে সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৬৫ হাজারের বেশি। কেবল সংক্রমণ নয়, সংক্রমণের হারও জানুয়ারিতে ৫ শতাংশ ও ফেব্রুয়ারিতে ২ শতাংশের নেমে এসেছিল।

মার্চে ফের সংক্রমণের হার পেরিয়ে যায় ১০ শতাংশ। কিন্তু এপ্রিল মাসে এসে সব রেকর্ড ভেঙে যায়। সংক্রমণ লাখের ঘর পেরিয়ে পৌঁছায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৭ জনে। মৃত্যু পেরিয়ে মাসশেষে সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ৪০৪ জনে। এর আগে কোনো মাসেই এত বেশি করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সাক্ষী হয়নি বাংলাদেশ।

এপ্রিল মাসে পরে মে মাসে সংক্রমণে কিছুটা নিম্মমুখী ধারা দেখা গেলেও জুন মাস থেকে আবার বাড়ে সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। জুন মাসে দেশে ছয় লাখ ৬১ হাজার ৪১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। জুন মাসে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যায় এক হাজার ৮৮৪ জন। এ মাসে দেশে ৯১৮ দশমিক ৬৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় প্রতি ঘণ্টায়। প্রতি ঘণ্টায় জুন মাসে ১৫৬ দশমিক ৯২ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। জুন মাসে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে দুই দশমিক ৬২ জন মৃত্যুবরণ করেন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে।

তবে সব পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যায় জুলাই মাসের ৩১ দিন। এ মাসে দেশে মোট ১১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগে কোনো মাসে এতো নমুনা পরীক্ষা করে নি বাংলাদেশ। এ মাসের ৩১ দিন গড়ে প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার ৫২১ দশমিক ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গড়ে প্রতি ঘণ্টা হিসেবে নমুনা পরীক্ষার হিসেবে জুলাই মাসের পরেই আছে এপ্রিল মাস। এপ্রিল মাসে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে এক হাজার ১১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় যা জুলাই মাসের তুলনায় ঘণ্টায় ৪১২টি করে কম তুলনামূলকভাবে।

জুলাই মাসের প্রতিদিন ঘণ্টায় গড়ে ৪৫১ দশমিক ৯২ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যা এপ্রিল মাসের তুলনায় ঘণ্টা হিসেবে ২৪৬ দশমিক ৫৯ টি বেশি। এপ্রিল মাসে দেশে ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৩৩ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেলেও জুলাই মাসে মারা যায় আট দশমিক ৩০ জন করে। অর্থাৎ এপ্রিল মাসের তুলনায় জুলাইতে ৪ দশমিক ৯৭ জন বেশি মারা গেছে ঘণ্টা হিসেবে।

ভেঙেছে নমুনা পরীক্ষার রেকর্ড, প্রথমবারের মতন ১০ লাখ ছাড়াল

দেশে জুলাই আসে প্রথমবারের মতন ১১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগে কোনো মাসে বাংলাদেশ ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষা করাতে পারে নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা করা হয় দেশে এপ্রিল মাসে যার সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৯৯ হাজার ১২৮টি।

জুলাই মাসেই দেশে প্রথমবারের মতন এক দিনে ৫০ হাজারের অধিক নমুনা পরীক্ষা করে বাংলাদেশ। ২৮ জুলাই দেশে ৫৩ হাজার ৮৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা। এছাড়াও ২৭ জুলাই ৫২ হাজার ৪৭৮ ও ২৯ জুলাই ৫২ হাজার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় দেশে।

ভেঙেছে সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড, প্রথমবারের মতন ছাড়াল তিন লাখ

জুলাই মাসেই দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত ছাড়ায় তিন লাখের অধিক। এ মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসে এক লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৭ জনের মাঝে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হলেও তার দুই দশমিক ২৭৪ গুণ বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে জুলাইতে।

দৈনিক হিসেবের পরিসংখ্যানেও জুলাই মাসে প্রতিদিনই হয়েছে রেকর্ড। দেশে ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ২৪ ঘণ্টায় এর আগে কখনো ১৬ হাজারের অধিক সংক্রমণ শনাক্ত হয় নি। এছাড়াও ২৯ জুলাই ১৫ হাজার ২৭১ ও ২৬ জুলাই ১৫ হাজার ১৯২ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২৪ ঘণ্টায়।

ভেঙেছে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর রেকর্ডও

দেশে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুই হাজার ৪০৪ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যায়। কিন্তু জুলাই মাসে মারা যায় তার দুই দশমিক ৫৭ গুণ বেশি। জুলাই মাসে দেশে ছয় হাজার ১৮২ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে যা ৩০ দিনে সর্বোচ্চ।

একই সঙ্গে দেশে ২৪ ঘণ্টার হিসেবেও প্রথম বারের মতন ২০০ জনের অধিক মৃত্যু জুলাই মাসেই প্রথম দেখা যায়। ২৭ জুলাই দেশে ২৫৮ জন মারা যায় যা ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা। এছাড়াও দেশে ২৬ জুলাই ২৪৭ জন ও ২৯ জুলাই ২৩৯ জন মারা যান কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে।

সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী সুস্থ হওয়ার মাসও জুলাই

জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৬২ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে। এর আগে এপ্রিল মাসে এক লাখ ৩৯ হাজার ২৭ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে।

অর্থাৎ জুলাই মাসে ৩৫২ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠে প্রতি ঘণ্টায়। এর আগে এপ্রিল মাসে প্রতি ঘণ্টায় ১৯৪ জন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা। বারবারই তারা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলেও সম্প্রতি গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত ও সেটিকে ঘিরে গণপরিবহণ সাময়িকভাবে চালানো প্রভাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন বিশেষজ্ঞরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রয়োজন। একইসঙ্গে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রয়োগের পাশাপাশি সম্ভব হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলার পরামর্শও বিশেষজ্ঞদের।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, উৎস ও উৎপত্তিস্থলগুলো বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিনিষেধ দিয়েছে। সেগুলোর ফল পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে শনাক্তের হারও বাড়ছে আর এটি উদ্বেগজনক।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, মৃত্যুর সংখ্যাও কিন্তু দেশে বাড়ছে। আর তাই এই পরিস্থিতিতে বলা যায়— আমাদের সামনের দিনগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে। মাস্ক পরার বিষয়ে জোর দিতে হবে। যেভাবে সাম্প্রতিক সময়ে কল কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে হয়তোবা সামনের দিনগুলিতে এর প্রভাব বোঝা যেতে পারে। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থেকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে কিছু ফিল্ড হাসপাতাল করা যেতে পারে। বিশেষ করে যারা গরীব, নিম্মবিত্ত বা নিম্ম মধ্যবিত্ত তারা যেন কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হলে আইসোলেশনে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন বলে জানান ডা. মোশতাক।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, গণমাধ্যমে খবর দেখছি, যে গার্মেন্টস শ্রমিক সহ অনেকেই বিধিনিষেধের মাঝেই বিভিন্ন স্থানে ও কর্মস্থলে যাচ্ছে। সাময়িকসময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে নাকি গণপরিবহনও। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাস কী আসলে এর মাঝে কতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে তা বুঝতে হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে— এ বিষয়টি সবার মাঝে ছড়ানো প্রয়োজন। কেনো এটি মানতে হবে, সেটিও জনগণকে বোঝাতে হবে। তারপর প্রয়োজন হবে এসব নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ হচ্ছে কি না, তার কঠোর মনিটরিং। এগুলোর কোনো একটি জায়গায় শূন্যতা তৈরি হলে লকডাউন বলি আর যাই বলি না কেন, কোনো কাজে আসবে না।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল আরও বলেন, আমরা বারবারই বলছি— স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিকল্প নেই। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে, জনসমাগম করা যাবে না। এগুলো ঠিকমতো অনুসরণ করলেই কিন্তু করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করা সক্ষম। তাই এ বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। একইসঙ্গে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে যাতে কোনোভাবে ঝুঁকি বেড়ে না যায় তাই অবশ্যই সবাইকে চিকিৎসকের পরামর্শ মানতেই হবে।

সারাবাংলা/এসবি/এএম

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর