গর্ভবতী নারীদের জন্য বরিশালে চালু হচ্ছে আলাদা করোনা ইউনিট
৫ আগস্ট ২০২১ ০৮:২৯
বরিশাল:করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার জন্য বরিশালে চালু হচ্ছে আলাদা করোনা ইউনিট। চলতি সপ্তাহে নগরীর কালিবাড়ি রোডের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে ২০ শয্যার ওই ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, বরিশালের ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি করে ১৮০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। কালিবাড়ি রোডের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ৩০০ শয্যার আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত চাপ কমে আসবে।
ডা. বাসুদেব কুমার বলেন, বরিশাল বিভাগে করোনার পরিস্থিতি ভয়বহ রূপ ধারণ করায় তা মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় কমিটির সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় এই তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
পরিবার-পরিকল্পনা অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক ডা. তৈয়বার রহমান বলেন, আমরা চাইলেই আজকালের মধ্যে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটিতে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে ভর্তি করাতে পারি। কিন্তু এখানকার চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে। পাশাপাশি অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই এই কেন্দ্রে। মূলত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলেই নারীদের জন্য বিশেষায়িত করোনা ইউনিটটি চালু করা সম্ভব।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার অনুষ্ঠিত ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড, সাধারণ ওয়ার্ডগুলো শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। জেনারেল হাসপাতালে শুধু বহির্বিভাগ চালু থাকবে এবং পুরো হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া অবস্থা বেশি খারাপ হলে তা মোকাবিলা করতে বেসরকারি ১০০ শয্যার আম্বিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং ২৫০ শয্যার সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটলে বা সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের যদি করোনা চিকিৎসায় অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরাই গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসবেন।
সারাবাংলা/এসএসএ