‘রোগী বেড়েছে সাত গুণ, পারিনি আইসিইউ সংকট দূর করতে’

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়ছে, কিন্তু হাসপাতালের বেড খালি নেই। কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে সাত গুণ। করোনা রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীই ৮০ শতাংশ। আমাদের আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) সংকট রয়েছে। এখন রোগী কমানোর সময় এসেছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীই ৮০ শতাংশ। তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এদিকে আবার ডেঙ্গু এসে ঘাড়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ছয় হাজার শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে এখন এক হাজার শয্যাও খালি নেই। এই পর্যায়ে আমরা আছি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার আইসিইউ রয়েছে। তারপরও আমরা আইসিইউ সংকট দূর করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই মাসের তুলনায় রোগী বেড়েছে সাত গুণ। আমরা ভ্যাকসিনের কাজ করছি, ডাক্তাররাও কাজ করছে। এছাড়া ফিল্ড হাসপাতাল, বেড আমরা বাড়িয়ে চলছি। কিন্তু এটারও তো একটা সীমা আছে। কতটুকু আর করা যেতে পারে?’ হাসপাতালের বেড বাড়ানো নয়, এখন সময় এসেছে করোনা রোগী কমানোর— মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ দিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০ দিন আগে আমরা কনভেনশন সেন্টারটি দেখতে এসেছিলাম। ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যাগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে আসছে, আমরা অনুভব করছিলাম। যে কারণে এই কনভেনশন সেন্টারকে ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার ব্যবস্থা নিলাম।’

তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনে আমরা ২৪ দিনে একটি হাসপাতাল করেছিলাম। সেটিও এক হাজার শয্যার ছিল। এই হাসপাতালটিও এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে। ২০ দিনে আমরা চারশ’ শয্যা প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে আইসিইউ শয্যা আছে ৪০টি। বাকি শয্যাগুলো সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় রয়েছে। এখানে ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংক বসানো হয়েছে। টেস্ট করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ছোট ল্যাবের।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন রোগী এবং মুমূর্ষু রোগী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতালে আসবেন। আমরা তাদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী