Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অব্যাহতির পর ফেসবুক ভিডিওতে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

সারাবাংলা ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০২১ ১৪:১৩

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার সুমন।

ভিডিও বার্তায় যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন: 

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে। যিনি পরম করুণাময় এবং অত্যন্ত দয়ালু। আপনারা জেনেছেন যে, গতকাল আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অনেকেই আমার কাছে এই ব্যাপারে আমার রিঅ্যাকশন জানতে চেয়েছেন। তো আমি আপনাদের সবাইকে বলতে চাই যে, এই ব্যাপারে আমার রিঅ্যাকশন হচ্ছে খুবই পজেটিভ। আমি বিশ্বাস করি, দল যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তখন দলের ভালো হবে এমন চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তে আমার কোনো দ্বিমত নাই, আমি বিশ্বাস করি দল ভালো চিন্তা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমি আরেকটা কথা বলতে চাই, কথাটা হচ্ছে বাংলাদেশ, জয় বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু—ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যারা জয় বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুতে বিশ্বাস করে না, তাদের নৈতিকভাবে কোনো অধিকারই থাকে না বাংলাদেশে থাকার। কারণ আমাদের বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির জনক। আমি শুধু এই কথাটাই বলার চেষ্টা করেছি। এটি সবসময় বুকে ধারণ করতে হয় এবং জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু এই শ্লোগান সবসময় হবে বাংলাদেশের স্বার্থে, আওয়ামী লীগের স্বার্থে, আপামর মানুষের স্বার্থে। এইটুকুই আমি শুধু বলার চেষ্টা করেছি।

বিজ্ঞাপন

আমি আরেকটি কথা বলতে চাই। আজকে আমার মা আমার সঙ্গে কথা বলার সময় জিজ্ঞেস করেছেন যে, যুবলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণে আমার কোনো মন খারাপ হয়েছে কি না। আমি আমার মা কে উত্তর দিয়েছি যে, এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আমার মন খারাপ হয়নি। আমার মন খারাপ হয়েছে তাদের জন্য যারা খুব আশা করে আমাকে এই পদে নিয়ে আসছিলেন। আপনারা জানেন যে, এইবারের যুবলীগের কমিটিতে লুটপাট বা লেনদেন করে কেউ নেতা হয়নি। সবাই নেতা হয়েছেন তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্টের কারণে বা যোগ্যতার কারণে। আমি মা কে বলেছি মন খারাপ হয়েছে তাদের জন্য যারা আমাকে এই পদে নিয়ে আসছিলেন। বিশেষ করে আমাদের নেতা শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই, সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভাই, বিশেষ করে যার কথা না বললেই নয় তিনি হচ্ছেন আমাদের অ্যাডভোকেট যুথি আপা, যিনি আমাকে উচ্ছ্বসিতভাবে আমার প্রশংসা করেন। আমি তাদের ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। আর আমি বিশেষ করে ক্ষমাপ্রার্থী তাদের কাছে যারা আমাদের দল করেন, আমরা একই আদর্শের সৈনিক।  তারা যদি কোনো কারণে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি খুবই ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের আমি একটা কথা বলতে চাই, দেখেন আজকে আমাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুয়েক বছর পর এমনিতেই হয়ত কমিটি থাকবে না। কিন্তু আমি যেভাবে কাজ করতাম, আমি বিশ্বাস করি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি  জয় বাংলার লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক। আর ব্যাসিকেলি কেউ যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে তাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক বলেই বিবেচনা করা হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। তাই আমি বলি, পদে থাকি বা না থাকি আমার ভেতরে রক্ত-মাংসে যে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুর যে মশাল রয়েছে তা জ্বালিয়ে রাখব।

বিজ্ঞাপন

আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আমার কোনো ব্যক্তিগত কর্মধারায় যেন সাধারণ মানুষ মনে না করে যে আওয়ামী লীগের একটা লোক, তাকে যেন খারাপ না বলেন। কারণ মানুষের মধ্যে যদি আমি আমার চরিত্র আর কাজকর্ম দ্বারা সম্মান বাড়াতে পারি প্রকারান্তরে আমার বিশ্বাস যে আওয়ামী লীগেরই সুনাম হবে। আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে বাংলাদেশকে বহুদূর নিয়ে যেতে চাই এই সংগ্রামে আমরা কেউ হয়ত দলে থাকব, হয়ত ফাংশন করব অথবা করব না। কিন্তু দেশের স্বার্থে কাজ করে যাব। এটাই আমার প্রত্যয়।

আপনারা জানেন, আজকে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী ,আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমনকে আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।

আরও পড়ুন- ব্যারিস্টার সুমনকে যুবলীগ থেকে অব্যাহতি

সারাবাংলা/এসএসএ

টপ নিউজ ব্যারিস্টার সুমন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর