ঢাকা: গণপরিবহনের মতো ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে সব ধরনের অফিসও খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে অফিস চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অফিসগুলোতে জনবলও থাকতে হবে সীমিত। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যতটাসম্ভব কম জনবল নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চলবে।
রোববার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিধিনিষেধ শিথিলের কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১১ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
এর আগে, দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে এবং বুধবার থেকেই অফিস খুলে দেওয়া হবে। তবে যতটাসম্ভব কম লোকবল নিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে নিতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়তি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সবকিছু খুলে যাচ্ছে, সেহেতু স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মাস্কের ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। বিধিনিষেধ কঠোর না থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সরকার কঠোর থাকবে।
এদিকে, উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশনায়।
এর আগে, করেনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহ পর ঈদুল আজহার কারণে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত আট দিনের জন্য সেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। পরে ২৩ আগস্ট থেকে ফের জারি করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ।
এর মধ্যেই গত ৩ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধগুলো শিথিল হয়ে যাবে। এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে চলতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে সে নির্দেশনাই জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন-