‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন সেবা সহজ হয়েছে’
৮ আগস্ট ২০২১ ২০:৪০
ঢাকা: কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অটোমেশন বা ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সহজে সেবা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অটোমেশন চালু করা হয়েছে এবং অনেক সংস্কার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট আইনের আওতায় আরজেএসসি কাজ করে থাকে। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অতি অল্প সময়ে এবং কম খরচে ব্যবসায়ীরা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন সেবা পাচ্ছেন। আগামীতে এ সুবিধা আরও বাড়বে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে, আরও হবে। এজন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনার আনুষ্ঠানিকতা অনেক সহজ হয়েছে।
রোববার (৮ আগস্ট) ‘রিমুভিং টাইম, কস্ট অ্যান্ড প্রোসেস রিলেটেড বটলনেকস ইন কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ভার্চুয়ালি বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডিপার্টমেন্ট (বিল্ড) এবং ইউএসএইডের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে মন্ত্রী নিজ অফিস থেকে যুক্ত ছিলেন।
ওয়েবিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশবাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায় সহজিকরণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সময় ও খরচ কমাতে এবং আনুষ্ঠানিকতা সহজ করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। এর স্বীকৃতি হিসেবে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরকে (আরজেএসসি) প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের জনপ্রশাসন পদক দিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু সময় ও খরচ কমানো নয়, আগামীতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে আরও দৃশ্যমান উন্নতির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা এখন ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার সুবিধা ভোগ করছেন।
বিল্ড চেয়ারপারসন আবুল কাশেম খানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফিড দ্য ফিউচার অফিস অব ইকোনমিক গ্রোথ ইউএসএইডের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অফিস ডিরেকটর রেবেকা মোনিকেয়ালা, ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ইমপ্রুভিং ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস ইনাবলিং ইনভায়রনমেন্ট অ্যাকটিভিটির ভারপ্রাপ্ত চিফ অব পার্টি ইউএসএইড মার্ক শিমান।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/জিএস/টিআর