ঢাকা: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সবসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস, অনুপ্রেরণা ও শক্তি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। বঙ্গমাতাকে বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের অনুপ্রেরণার সাহসী দৃঢ়চেতা মহীয়সী নারী হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।
এসএম কামাল বলেন, বেগম মুজিব ছিলেন বলেই টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিব, বাবা-মায়ের খোকা শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছেন। বেগম মুজিব ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্ন।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে চলার পথে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ কারাজীবনের প্রসঙ্গ তুলে বঙ্গমাতার অবদানের কথা স্মরণ করে এস এম কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহস ছিলেন, অনুপ্রেরণা ছিলেন, শক্তি ছিলেন বেগম মুজিব। সেই বঙ্গমাতা মুজিবকে এই আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের অনুপ্রেরণার সাহসী দৃঢ়চেতা মহীয়সী নারী ছিলেন বঙ্গমাতা মুজিব।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার মা-বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এস এম কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়া সবকিছু পেয়েছেন বেগম মুজিব ও বাবার আদর্শ থেকে। কারণ তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি দেখেছেন বেগম মুজিব যখন জেলখানায় যেতে পারতেন না, তখন আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠাতেন বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্ত জানতে। তিনি দেখেছেন রাজনৈতিক কূটকৌশল, তিনি দেখেছেন তার বাবা কীভাবে সবকিছুকে বিসর্জন দিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। মা কিভাবে মানুষের সবকিছুতে বিসর্জন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে বেগম মুজিবের মতো ত্যাগ কোনো নারী স্বীকার করেছেন কি না, আমার জানা নেই।
সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এস এম কামাল বলেন, আজ সরকারবিরোধীরা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ওই পঁচাত্তরের খুনি আর একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা এক হয়ে আমাদের সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রচারে নেমেছে। আমাদের দলের মধ্যেও কিছু সুবিধাবাদী-টাউট ঢুকে গেছে। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। কাউকে সুযোগ নিতে দেওয়া যাবে না।
শোকাবহ আগস্টে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের নিবিষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এস এম কামাল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আজও ডুকরে ডুকরে কাঁদেন। তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে মানুষের জন্য কাজ করছেন। সেই শেখ হাসিনার চলার পথকে আমাদের মসৃণ করতে হবে। শেখ হাসিনার চলার পথকে স্বাভাবিক করতে হবে। শেখ হাসিনার চলার পথকে কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। যারা চলার পথকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা, সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ফাইল ছবি