দুর্গাপুরে আমন ধান রোপণে ব্যস্ত চাষিরা
৯ আগস্ট ২০২১ ১৩:২৯
নেত্রকোনা: নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরে রোপা-আমন ধান রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। করোনা নিয়ে কোনো ধরনের ভ্রূক্ষেপ নেই শ্রমিকদের। চাষিরা চায় যেভাবেই হোক জমিতে আবাদ করতে হবে। তাই করোনা মাথায় নিয়ে তেমন কোনো চিন্তাভাবনা নেই তাদের।
দুর্গাপুর সদর ইউনিযনের ভবানীপুর গ্রামে দেখা গেছে, আমন ধান রোপণে ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষিশ্রমিকরা। অত্র এলাকায় পুরুষ আদিবাসী শ্রমিকদের চেয়ে পাশাাশি নারী আদিবাসী শ্রমিকদের বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে আদিবাসী নারী শ্রমিকদের অভিযোগ পুরুষদের সমান কাজ করেও তারা ন্যায্য মজুরি পায় না। জীবনের অনেকটা সময় নারী কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেও মজুরি প্রাপ্তির বৈষম্য রোধ করা গেল না।
উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, বিরিশিরি, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়ন গুলোতে আমন ধানের চারা রোপন প্রায় শেষ হলেও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাজের চাপ বেড়েছে বলে দেখা গেছে। অত্র জমি গুলো নিচু এলাকাতে হওয়ায় বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষের মধ্যে ব্রি ৪৯ এবং ব্রি ৩২ ধানের আবাদে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কৃষকগণ। এ নিয়ে জাগিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম ও হযরত আলী এ প্রতিনিধি কে জানান, রোরো ধান কাটার পর পরই জমি গুলোকে আমন চাষের উপযোগী করে তুলতে মাঠে কাজে লেগে যেতে হয় আমাদের। দেড়িতে ধান লাগাইলে আগাম বন্যার পানিতে বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের রন মারাক বলেন, ‘গত মাস তিনেক আগে বোরো ধান কেটেছি। আগাম বন্যার ভয়ে নানা সমস্যা ও শত ব্যস্তাতার মধ্যেও আমন ধান চাষ শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক কৃষি শ্রমিকের সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকা পরির্দশন বা কোন পরামর্শ দিতে এখন পর্যন্ত আসেনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এবার দুর্গাপুর উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার ১’শ হেক্টর এবং বীজতলা তৈরী হয়েছে ১১৫০ হেক্টর। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি। বীজতলা তৈরী ও চারা রোপনে এখন পর্যন্ত কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্য মাত্রা শেষ হলে দুর্গাপুর উপজেলায় আমন চাষের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।’
সারাবাংলা/একে