Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতের ১২ শহর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা

পরিবেশ ও জলবায়ু ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০২১ ১৮:৩৬

চলতি শতাব্দীর শেষদিকে ভারতের অন্তত ১২ শহর তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) আর এই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা এজেন্সি নাসা। খবর ডয়চে ভেলে।

নাসা বলছে, দেশের ১২ উপকূলীয় শহর এবং বন্দর এক-তিন ফুট পানির নিচে চলে যাবে। এই তালিকায় রয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই, দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান শহর চেন্নাই, কেরালার কোচি, অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং পশ্চিমবঙ্গের খিদিরপুর।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বিশ্বে পরিবেশ দূষণ-উষ্ণায়নসহ বিভিন্ন কারণে সমুদ্রের পানির স্তরের উচ্চতা বেড়েই চলেছে। আইপিসিসি মনে করছে, আগে একশ বছরে পানির স্তরের যে পরিবর্তন হতো ২০৫০ এর মধ্যে প্রতি ছয়-নয় বছরের মধ্যেই সেই পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। এই শতাব্দী জুড়েই উপকূলে পানির স্তর বাড়বে, ভাঙন দেখা দেবে, অনেক শহর পানির নিচে তলিয়ে চলে যাবে।

এ ব্যাপারে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ পুনর্বসু ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নানারকম আলোচনা চলমান রয়েছে। প্যারিস কনভেনশন থেকে শুরু করে নানা জায়গায় বহু সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশকে তখনই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, যখন ব্যক্তি পর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। কিন্তু, বর্তমান জীবনযাত্রায় কার্বন নিঃসরণের হার কমানো অসম্ভব।

তার মতে, গাড়ি-এসিসহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার বা অভ্যাস বদল না করলে শুধু জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না।

শিল্পবিপ্লবের সময় কার্বন নিঃসরণের যে পরিমাণ ছিল, এখন তা দ্বিগুণেরও বেশি বলে উল্লেখ করেছেন পুনর্বসু।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, জাতিসংঘ সব দেশের জন্য মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) বেঁধে দিয়েছিল। ২০১৫ সালের মধ্যে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হতো। ২০১৫ সালে মূল্যায়নের সময় দেখা গেল, তার বাস্তবায়ন হয়নি। ফের ২০৩০ এর মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) ঠিক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। তা পূরণ হওয়ার আশা কম। তখন হয়তো আবার ১৫ বছরর জন্য অন্য নামে কোনো লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার কাজটাও এভাবেই হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের একজন সাবেক কর্মকর্তা।

এদিকে, আইপিসিসি রিপোর্ট বলছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক স্তরেও নানা পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হবে, আবার কোথাও বৃষ্টি কমে যাবে। খরা দেখা দেবে। কোথাও কোথাও প্রচুর তুষারপাত হবে।

অন্যদিকে, ২০০৬-১৮ সালের মধ্যে সমুদ্রের পানির স্তর নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি বছর পানির স্তরের গড়ে ৩.৭ মিলিমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এখন থেকেই সতর্ক হয়ে পরিবর্তন রোধ করার চেষ্টা না করলে ভবিষ্যৎ ভয়ংকর হতে বাধ্য।

সারাবাংলা/একেএম

জলবায়ু পরিবর্তন টপ নিউজ সমুদ্রে পানির স্তর বৃদ্ধি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর