সৌরবাতিতে আলোকিত জুড়ী-বড়লেখার পাহাড়ি সড়ক

ঢাকা: দেশের মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভুয়াই বাজার থেকে বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সড়কের ৩৭৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌর সড়কবাতি স্থাপনের কাজ চলছে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এ আঁকাবাঁকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝলমলে এ আলোর ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১৪ আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় কার্বন নির্গমন হ্রাস ও পরিবেশ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক এ মহাসড়কে ৩০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সড়কবাতিগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শহরের মতো দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়কেও সৌরবাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের শ্লোগান ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’— এখন আর এটা শুধুই শ্লোগান নয়, সরকার তা বাস্তবায়ন করেছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আরও বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সরকার এজন্য সৌরশক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ ধরনের সড়কে সড়কবাতি স্থাপন করা হবে।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

জুড়ী-বড়লেখার পাহাড়ি সড়ক পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন মৌলভীবাজার সৌর সড়কবাতি