ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের জয় গোপাল সরকারের হাইকোর্টে জামিন
১৯ আগস্ট ২০২১ ১৬:২৮
ঢাকা: ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে জয় গোপালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. কামরুল ইসলাম, আবদুর রহমান হাওলাদার ও মুনমুন নাহার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশিদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা থাকলেও আসামিপক্ষের কিছু নথি আদালতে জমা দেওয়ার সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করেন হাইকোর্ট। এর আগে, সোমবার (১৬ আগস্ট) শুনানি শেষ করা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। তাদের বাসায় টয়লেটে স্বর্ণের কমোট পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। এরপর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তাদের জবানবন্দিতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় তাকে গত বছরের ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। তাকে ২০১৯ সালে গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় করা পৃথক চার মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়। গেণ্ডারিয়া থানায় ওই বছরের ২৫ মে একটি (মামলা নম্বর ২৮), সূত্রাপুর থানায় ২৬ সেপ্টেম্বর দুটি (মামলা নম্বর ২৭ ও ২৯) এবং ওয়ারী থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি (মামলা নম্বর ৩৪) মামলা করা হয়।
গত বছর ২২ জুলাই এসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। গেণ্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দুটি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রুপনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম