পুলিশের হস্তক্ষেপে সংসার ফিরে পেলেন নারী
২৬ আগস্ট ২০২১ ২০:৩১
ঢাকা: রাজধানীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে সংসার ফিরে পেয়েছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোহেল রানা বলেন, ‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে একটি বার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি লিখেন, নয় বছর আগে প্রেম করে এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। তার বাবা নেই। বিধবা মায়ের কাছে ফেলে রেখেছে তাকে। পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ে ছিল। সেও মারা গেছে। দুই বছর বয়সের একটি ছেলে আছে এখন। দীর্ঘদিন তার স্বামী ও তার পরিবার বাচ্চা ও তার কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। তার মায়ের এক কাঠার মতো ছোট্ট একটি জমি আছে গেন্ডারিয়ায়। সেখানে ঘর তুলে সে মায়ের সঙ্গে থাকে। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এই জমিটি বিক্রি করে টাকা দিতে বলে স্বামী ও তার পরিবার। স্বামীর পরিবার স্বচ্ছল। তবুও, তার মায়ের কাছে টাকা চায়। নানা জায়গায় ও নানা জনের কাছে ধর্না দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার সমস্যার সমাধান হয়নি। মেয়েরটি স্বামীর পরিবার বলেছে, যত পার পুলিশের কাছে যাও, আদালতে যাও। দেখা যাবে। কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে তিনি মেসেজ পাঠিয়েছেন। তবে, তিনি অনুরোধ করেছেন, তিনি কোনো মামলায় জড়াতে চান না।’
এআইজি মিডিয়া আরও বলেন, ‘তার স্বামীর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার অধীনে। তিনি সেখানেই থাকেন। তার বার্তা পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ওসি মু. আতাউর রহমানকে বার্তাটি পাঠিয়ে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও মধ্যস্থতায় বিষয়টির পারিবারিক সমাধান হয়।’
উল্লেখ্য, ওই নারীকে থানায় বা কোথাও যেতে হয়নি। তাকে তার বাসা থেকে অনলাইনে যুক্ত করেছে পুলিশ। স্বামী ও তার পরিবারকে জানানো হয়েছে, ওই নারী ও তার সন্তানের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করতে। তা না হলে, বা অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নিতে কোনো কার্পণ্য করবে না পুলিশ। দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় এবং সম্মানজনকভাবে তার সংসার ফিরে পাওয়ায় ওই নারী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরণ করে থাকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম
