‘প্রমাণ করুন জিয়ার লাশ আছে, নাকে খত দেবো’
৩০ আগস্ট ২০২১ ১৬:৩৪
ঢাকা: চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরদেহ থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে জাতির কাছে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইবেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক।
সোমবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতারাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মোজম্মেল হক বলেন, ‘ডিএনএ টেস্ট করলে জানা যাবে সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যান) কোনো কিছু আছে কিনা। ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ হয় জাতির কাছে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইব। জাতি বিচার করবে, অন্য কোন দণ্ড দিলেও সেটা মেনে নেব। আমি চ্যালেঞ্জ করি সেখানে তার কোনো মৃতদেহ নেই। কার না কার মৃতদেহ বা অন্যকিছু দিয়ে জিয়ার কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাকে যারা হত্যা করেছে তারা কয়েক ঘণ্টায় ক্ষমতায় ছিলেন, শুধু চট্টগ্রামের মধ্যে। বাংলাদেশে তারা ক্ষমতায় ছিলেন না। সেই সময়ে হয়তো তারা ছবি তুলতে পারে নাই। পরশুদিন বিএনপির মহাসচিব চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন- জিয়াউর রহমানের লাশ মানুষ দেখিয়ে দিয়েছিল, তারা খুঁজে পেয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি জাতির কাছে নতুন তথ্য তুলে ধরেছেন। এখন তাকে জবাব দিতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশের ছবি কোথায়? সাধারণ মানুষেরও তো ছবি থাকে, তিনি তো রাষ্ট্রপতি। তাদের সব কিছুর ছবি ধারণ করা থাকে। রাষ্ট্রের শিষ্টাচার অনুসারে সব কিছু ধারণ করা থাকে। জিয়াউর রহমানের লাশ পেলেন, তাহলে ছবিটা দয়া করে দেখান। মহাসচিব (বিএনপি) আরও বলেছেন- তার (জিয়াউর রহমান) দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে, ২২টি বুলেট পাওয়া গেছে। আবারও অভিনন্দন জানাই। সত্য হয়ে থাকে তাহলে ছবি দেখান। ধরেন যে বিকৃত হয়েছিল, তাহলে মুখের অংশটুকু দেখান। শুধু তাই বলেননি, প্রমাণ করার জন্য আরেক ডিগ্রি এগিয়ে গেছে। কফিনটা ওপরে কাচের ছিল।
তিনি আরও বলেন, কাচের কফিন থাকলে ছবি দেখান। সেখানে তো দেখা যায়। আমরা বলেতে চাই জিয়াউর রহমানের লাশ পাওয়াই যায়নি। সেখানে কফিনের মধ্যে কি ছিল, সেখানে কফিনের মধ্যে কি মানুষ ছিল, নাকি অন্য কিছু ছিল… আল্লাহ মালুম আমরা জানি না… একটা কাঠের বাক্স সেখানে আপনারা দাফন করেছেন। জিয়াউর রহমানের লাশ কবর মনে করে মানুষ যদি কেউ শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকে, মিথ্যা জিনিস এটা হতে পারেনা। ইতিহাসের স্বার্থেই সেটা কার কবর, সেটা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ।
মোজম্মেল হক আরও বলেন, আমি ১০ বছর আগে থেকেই পার্লামেন্টে বলে আসছি এটা জিয়ার কবর নয়। ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলেছি। নাহলে প্রসেডিং দেখেন। আমি শুধু জিয়ার কবর অপসারণের কথাই বলিনা, জাতীয় সংসদের আশেপাশে নকশা বহির্ভূত যা আছে সব কিছুই অপসারণ করার কথা বলেছি। সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার কথা বলেছি। কারণ সেখানে মূল নকশার বাইরে কিছু থাকা উচিৎ নয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস