ই-অরেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা রাসেল কারাগারে
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪৬
ঢাকা: গ্রাহকের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) চারদিনের রিমান্ড শেষে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট আসামির চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন এক গ্রাহক। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি।
এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করেন। এই ঘটনায় সকালে রাজধানীর গুলশান থানায় ভুক্তভোগী তাহেরুল ইসলাম প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে অন্য আসামিরা হলেন- আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা।
এরপর গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এই মামলায় গত ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/এমও