Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেন্সর স্থাপন, মিলবে বজ্রপাতের পূর্বাভাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:১৮

ঢাকা: বজ্রপাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে দেশের আটটি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর স্থাপন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এসব লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর আগাম সতর্কবার্তা দেবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, এটি সফল হলে জনসমাগম হয় এরূপ আরও বেশি স্থানে লাইটনিং এরেস্টার বা বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হবে ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বজ্রপাত বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এসকল উদ্যোগ ছাড়াও বজ্রপাতে যেখানে মৃত্যুহার বেশি সেসব অঞ্চলে বজ্রপাত আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনদিন বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে এবং এতে হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ।

সরকার বজ্রপাতকে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোহসীন বলেন, দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসে জীবন ও সম্পদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয়, টেকসই ও নিরাপদ দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে প্যানেল বক্তা হিসেবে ‘বজ্রপাত কেন এবং কিভাবে’ বিষয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম আরশাদ মোমেন। ‘বজ্রপাত থেকে জীবন বাঁচানো এবং সর্তকতা’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জীবন পোদ্দার। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড, ফারুক আহমেদ অনুষ্ঠানে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগে সর্তকতা ও করণীয় বিষয়ে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বজ্রপাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে আমাদের কিছু উপায় বের করতে হবে । যেমন, প্রথমেই বজ্রপাতের পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করতে হবে। বজ্রপাতের অন্তত ২০ মিনিট পূর্বে আবহাওয়া অধিদফতর জানতে পারবে কোন কোন এলাকায় বজ্রপাত হবে। এ খবর মোবাইল ফোনে মেসেজ আকারে অথবা গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে জানানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ সেমিনারে অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সারাবাংলা/জেআর/আইই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর