মাদকের তথ্যে অসঙ্গতি, ২ এসআইকে তদন্ত থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:০৮
ঢাকা: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুই মামলায় মাদকের পরিমাণ নিয়ে তথ্যে অসঙ্গতি থাকায় আশুলিয়া থানার দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) এক বছরের জন্য যেকোনো তদন্তকাজ থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৫ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মামলা দুটির পৃথক তদন্ত কর্মকর্তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুই এসআই হলেন- আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজ হোসেন, যিনি বর্তমানে শরীয়তপুরের সখীপুর থানায় কর্মরত এবং বর্তমান উপপরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী। আর দুই মামলার দুই আসামি হলেন শাহীন ও আলমগীর ভূঁইয়া।
শাহীনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী হলেন আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজ হোসেন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কায়সার হামিদ।
আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলার বাদী হলেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী। তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল।
মাদকের পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন শাহীন ও আলমগীর। পরে তারা হাইকোর্টে জামিনের পৃথক আবেদন করেন। এর শুনানিতে মাদক উদ্ধারের তথ্যে অসঙ্গতির বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। আদালত মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা জানাতে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন। তারা আদালতে হাজির হন। শুনানি শেষে আজ দুই আসামিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত।
আদালতে শাহীনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মতিউর রহমান। আলমগীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ১৮ জুলাই শাহীনকে মাদকসহ আটক করা হয়। সেদিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। এ মামলায় গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২-এ বিচারাধীন।
গত বছরের ২১ জুলাই আলমগীরকে মাদকসহ আটক করা হয়। সেদিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। এ মামলায় গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান জানান, শাহীনের মামলার এজাহারে মাদকের (হেরোইন) পরিমাণ ১০ গ্রাম উল্লেখ রয়েছে। আর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭১ দশমিক ২৫ গ্রামের কথা। আর আলমগীরের মামলার এজাহারে মাদকের (হেরোইন) পরিমাণ ১১ গ্রাম উল্লেখ থাকলেও সিআইডির রাসায়নিক প্রতিবেদনে মাদকের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৮১ দশমিক ৭ গ্রাম।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম