বরিশালে বাড়ছে নদীর পানি, তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৯
বরিশাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যা জোয়ারের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সকল নদীর পানি বেড়েছে। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানিও মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই এলাকাগুলোর সড়ক ও বাসা-বাড়ির উঠান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব বাসিন্দারা।
তবে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে জোয়ারের প্রভাব কমে গেলে পানি নেমে যাবে এবং এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান নদী মেঘনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। ফলে মেঘনার সঙ্গে সংযুক্ত তেঁতুলিয়া, কীর্তনখোলা, কালাবদর নদীতে পানি বেড়েছে। একই কারণে বঙ্গোপসাগরের যুক্ত পায়রা, বিষখালী, কচা এবং সন্ধ্যা নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বরিশাল বন্দর পয়েন্ট বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। অপরদিকে বিভাগের অপর ৯টি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অস্বাভাবিক পানি প্রবাহ ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটার গেজ রিডার আব্দুর রহমান জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তবে ৬ ঘণ্টা পর ভাটার সময় পানি নেমে যায়।
এদিকে সোমবার রাত থেকে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং সাগরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের অবজারভার প্রণব কুমার রায়।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, বৃষ্টি এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।
সারাবাংলা/এসএসএ