১৬ হাসপাতালের ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি, তদন্তের নির্দেশ
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৯
ঢাকা: দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এসব যন্ত্রপাতি এভাবে পড়ে থাকায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ১৬ হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তাদেরকে রুলের জবাব দিতে হবে।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৪ আগস্টে ১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদেন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৬ আগস্ট জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র। পড়ে থেকে কোনো যন্ত্র নষ্টও হয়ে গেছে। এছাড়া কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।
দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি যন্ত্রগুলোর মধ্যে আছে ১৩টি এক্স-রে, ছয়টি ভেন্টিলেটর, চারটি আলট্রাসনোগ্রাম, একটি ইসিজি, একটি ল্যাপারোস্কপি, একটি কালচার ইনকিউবেটর, একটি হট এয়ার ওভেন ও একটি অটোক্লেভ মেশিন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম