শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৪৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সে জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার উপস্থাপনা অবলোকনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে নীতিমালা আছে সেই নীতিমালার ভিত্তিতে এ সব করব। সবসময় সবার সঙ্গে মিলিয়ে চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যখন বিশ্ব এগিয়ে যায় তখন আমরা কোনোমতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে আগে প্রাক প্রাথমিক স্কুলের ব্যবস্থা ছিল না। আমরা এসে সেটিও করে দিয়েছি। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতের প্রতি আগ্রহটা যেন বাড়ে সে জন্যই এটি করা হয়েছে। যে সমস্ত এলাকায় স্কুল-কলেজ ছিল না স্কুল করে দিচ্ছি। ছোট ছোট শিশুদের স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার্থে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছে।’
বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমি লক্ষ করেছিলাম আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইত না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এ রকম একটা সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’
দীর্ঘদিন পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ গতকাল থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। যার ফলে আবার নতুন ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে- ঘরেই আমরা স্কুল, এরই ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে।’
করোনাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন যখন সব কিছু স্থবির তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে আরও আকর্ষণীয় করা যায় সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। করোনাকালীন অবস্থাতেও জীবন-জীবিকার পথটাও যেন খোলে; সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এই কার্যক্রমগুলো করেছেন।’
সারাবাংলা/এনআর/একে