পরীমনির রিমান্ড ‘সরল বিশ্বাসে’, ক্ষমাপ্রার্থনা বিচারকদের
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:৪০
ঢাকা: জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করার বিষয়ে নিম্ন আদালতের দুই বিচারক ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন করেছেন। এই দুই দফায় রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের ব্যাখা দিয়ে তারা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকলে তা ‘সরল বিশ্বাসে’ হয়েছে।
পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে উচ্চ আদালতের কাছে জমা দেওয়া লিখিত ব্যাখ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম ‘সরল বিশ্বাস’ ও ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই দুই বিচারকের ব্যাখ্য সম্বলিত ক্ষমাপ্রার্থনার লিখিত আবেদন হাইকোর্টে পৌঁছায়।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীমনির রিমান্ড ইস্যুতে দুই বিচারক পৃথক ব্যাখ্যায় বলেছেন— রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকলে তা ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ এবং ‘সরল বিশ্বাসে’ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, দুই বিচারকের পৃথক লিখিত ব্যাখ্যা সম্বলিত ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরবর্তী আদেশ দেবেন।
আদালতে আজ (বুধবার) আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, মো. মুজিবুর রহমান ও সৈয়দা নাসরিন। তাদের সঙ্গে ছিলেন মো. শাহীনুজ্জামান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চেয়ে গত ২৯ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
ওই বিষয়ে আবেদন জানানোর পর আদালত বলেন, ‘রুল রিটার্ন (পরীমনির জামিন আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল) হয়ে আসুক, এরপর দেখব।’
পরে গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমণি। এর পরদিন ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে বিচারিক আদালতকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।
ওই দিন রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকেও ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম