সমুদ্র দূষণের শাস্তি ৩ বছর কারাদণ্ড
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২০
ঢাকা: ১৯৭৪ সালের সমুদ্র আইনের সংশোধন চেয়ে দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন (সংশোধনী) বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে সমুদ্র দূষণে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বনিম্ন দুই কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আগের আইনে, সমুদ্র দূষণের দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। পরে, বিলটি ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, জলদস্যুতা-সশস্ত্র চুরি-সমুদ্র সন্ত্রাস করতে গিয়ে কেউ খুন করলে তার সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। আর জলদস্যুতা বা সমুদ্রসন্ত্রাসের শাস্তি হবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দস্যুতা করে যা লুট করা হবে, তার পরিমাণ অনুসারে জরিমানা হবে। কেউ জলদস্যুতা বা সমুদ্রসন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা বা সহায়তা করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, দেশের জলসীমায় কোন বিদেশি জাহাজ অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে অপরাধী গ্রেফতার ও তদন্ত পরিচালনায় এ আইন প্রযোজ্য হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মেরিটাইম অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়। ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশনে সই করে বাংলাদেশ।
বিলে ওশান গভর্নেন্স, ব্লু ইকোনোমি, মেরিটাইম কো অপারেশন সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক বিধিবিধান সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে মেরিন সায়েন্টিফিক রিসার্চের পদ্ধতি ও অনুশাসন সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সমুদ্রে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয় তা ভিন্নমাত্রিক হওয়ায় পৃথক মেরিটাইম ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিধান বিলে রাখা হয়েছে। অপরাধ বা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ভিডিও, ছবি, ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাাবিত আইনে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম
দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন (সংশোধনী) বিল-২০২১ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন