‘দয়া করে মানুষকে ডেঙ্গু দিয়ে আর হত্যা করবেন না’
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৫
ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও নিহতদের ব্যবহৃত ‘স্মৃতি চিহ্নে’র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে সচেতন নাগরিক সমাজ।
অনুষ্ঠানে জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (যিনি ডিএসসিসি মেয়রকে লার্ভা ও ওয়াসা এমডিকে শরবত উপহার দিয়ে আলোচিত হন) তিনি উপস্থিত থেকে বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের (সিটি করপোরেশনের) যে দায়-দায়িত্ব ছিলো তা করেনি। কথা ছিল মেয়র ও কাউন্সিলরা ডেঙ্গু নিয়ে ১২ মাস কাজ করবেন। কিন্তু সেটি হয়নি। এর পরেও দায়িত্বশীলরা যখন বলেন, ডেঙ্গু নেই। ডেঙ্গু হয়নি। তখন মানুষের মধ্যে একটা সাদামাটা ভাব চলে আসে। তারা নিশ্চিন্তে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু জুরাইনে ৯ জন মারা গেছেন। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আমার জানামতো এর সংখ্যা আরও বেশি। একটি ওয়ার্ডে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বুঝে নিন সারা ঢাকার অবস্থা কেমন। যারা মারা যাবে তাদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিজেই তো সচেতন নয়। ড্রেনে ময়লা কিংবা পানিতে এডিস আছে কিনা তার খোঁজ রাখে না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের প্রধান অবলম্বন জরিমানা করা। ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে টাকা পয়সার বিনিময়েও অনেক সময় হয়রানি করা হয়। আমরা বলতে চাই- মানুষকে এভাবে ভয় দেখিয়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। মানুষকে আস্থায় নিতে হবে।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা নগর কর্তৃপক্ষকে সচেতন করতেই আজ এই উদ্যোগ নিয়েছি। নগর ভবনে যে জাদুঘর রয়েছে সেখানে যদি এই জিনিসপত্র গুলো সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে নগরবাসী ও নগর ভবন সচেতন হবে।’
এ সময় তিনি মেয়রকে আহ্বান রেখে বলেন, ‘আপনি জুরাইনে আসুন। দেখুন হাজার হাজার আক্রান্ত কিনা? মানুষ মরেছে কিনা? মশক নিধন কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা?’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ শহরে ডেঙ্গুর মহামারি। এই অবস্থায় রেখে কিভাবে একজন মেয়র দেশের বাহিরে গেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটাকে অবহেলা না বলে মানুষের প্রতি অবজ্ঞা বলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মেয়ের কথা উল্লেখ করে পলাশ নামের অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আমার বাড়ির আশেপাশে ময়লা জমে থাকে। মাঝে মাধ্যে লোক দেখানো ওষুধ ছিটানো হয়। আমার মা’ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।’
সেলুন ব্যবসায়ী রণজিত বলেন, ‘আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর সাত দিন হাসপাতালে ছিলাম। আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ঋণ করেই আমি চিকিৎসা খরচ ব্যয় করেছি।’
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন কোনো সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন রণজিৎ।
সারাবাংলা/একে