নতুন মুক্ত বাণিজ্য জোটে যেতে চায় চীন
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০১
প্রশান্ত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে নিজস্ব প্রভাব বলয় বাড়াতে একটি আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য জোটে থাকা সত্ত্বেও কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি) নামের নতুন এক মুক্ত বাণিজ্য জোটে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে চীন।
প্রশান্ত মহাসাগরে চীনকে রুখতে আমেরিকা-ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়া নতুন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পরদিনই সিপিটিপিপিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছার কথা জানাল বেইজিং।
বারাক ওবামার শাসনামলে চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম এই বাণিজ্য জোটের উদ্যোগ নিয়েছিল। পরে, ২০১৭ সালে এই উদ্যোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার অন্যতম মিত্র জাপানের নেতৃত্বে সিপিটিপিপি গঠনের আলোচনা শুরু হয়। ২০১৮ সালে ১১ দেশ এই চুক্তিতে সই করে। তাদের মধ্যে চীনবিরোধী নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির অন্যতম ক্রীড়ানক অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও কানাডা, চিলি এবং নিউজিল্যান্ড রয়েছে। চলতি বছরের জুনে যুক্তরাজ্য সিপিটিপিপিতে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে; থাইল্যান্ডও এতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই বাণিজ্য জোটের প্রশাসনিক কেন্দ্র নিউজিল্যান্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও জানান, সিপিটিপিপির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যোগ দিতে নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী ডেমিয়েন ও’কনরকে চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়াও, পরবর্তী করণীয় নিয়ে পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার খবর জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তবে, ২০২০ সালে চীন ১৪ দেশের সঙ্গে মিলে অন্য একটি মুক্ত বাণিজ্য জোট রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) গঠন করেছিল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওই বাণিজ্য জোট আরসিইপিতে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
সারাবাংলা/একেএম