Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যয় বাড়ছে নোয়াখালীর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:২২

ফাইল ছবি

ঢাকা: নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে। এজন্য ‘বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয় প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এক্ষেত্রে প্রকল্পটির মূল ব্যয় ১ হাজার ১৫২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এখন প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।

এই সংশোধনীতে খরচ বাড়ছে ৩১৩ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে মেয়াদও বাড়ছে দুই বছর। এদিকে গত জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া বাস্তব অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৫০.৯৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম সংশোধনীর প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দারিদ্র্য বিমোচনে, সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, গ্রামীণ হাট-বাজার উন্নয়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়নকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে গণ্য করা হয়। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও ৩৩ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ১ লাখ ৬৫ হাজার মিটার সেতু নির্মাণ পুনর্বাসনের উল্লেখ রয়েছে। এলজিইডি পল্লী সড়ক এবং হাট-বাজার উন্নয়নে নিয়োজিত রয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালী ৩টি জেলায় রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাট-বাজার উন্নয়নের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটি বৃহত্তর নোয়াখালীর ৩টি জেলা যথা- নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গ্রামীণ জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়। এর জন্য মোট ১ হাজার ১৫২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর হতে ২০২২ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্র ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়।

এরপর প্রকল্প এলাকার স্থানীয় জনগণ, সংসদ সদস্যগণের সুপারিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন স্কিমগুলো অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা, ২০১৯ সালে জারি করা এলজিইডির হালনাগাদ রেট সিডিউল অনুযায়ী প্রকল্পের অবশিষ্ট কার্যক্রমের ব্যয় প্রাক্কলনের কারণে প্রথম সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত সংশোধনের ওপর গত ১৬ জুন প্রকল্প মুল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় হতে বলা হয়েছে- বিভাগীয় দর তালিকা পরিবর্তনে মূল প্রকল্পটি ২০১৭ সালের রেইট সিডিউল অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরমধ্যে দুইবার (২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালের জুলাই) নতুন দর তালিকা হয়েছে। এ কারণে প্রকল্পটি সংশোধন প্রয়োজন হচ্ছে।

এছাড়া প্রকল্পটি গত অর্থবছরগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পায়নি। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। অবশিষ্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সমাপ্তির জন্য ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি প্রয়োজন। স্থানীয় চাহিদার জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু স্কিম অন্তর্ভুক্তির কারণে প্রকল্প সংশোধন আবশ্যক বলেও জানানো হয়।

পাশাপাশি প্রস্তাবিত অতিরিক্ত দুই বছর মেয়াদের জন্য রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্প সংশোধন প্রয়োজন হবে।

প্রকল্পের আওতায় মূল কার্যক্রম হচ্ছে, হাট-বাজার উন্নয়ন, উপজেলা সড়কে ব্রিজ নির্মাণ, ইউনিয়ন সড়কে ব্রিজ, গ্রাম সড়কে ব্রিজ, উপজেলা সড়ক উন্নয়ন, ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, গ্রাম সড়ক উন্নয়ন, স্কুল সংযোগকারী সড়ক উন্নয়ন, এইচবিবি সড়ক উন্নয়ন, সড়ক প্রশস্তশরণ ও শক্তিশালীকরণ, সড়কের ঢাল রক্ষাকরণ, সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, উপজেলা সড়কে কালভার্ট, ইউনিয়ন সড়কে কালভার্ট, গ্রাম সড়কে কালভার্ট এবং গ্রামীণ সড়ককে দুর্যোগ সহনীয় দুই লেন সড়কে উন্নীত করা।

প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘বৃহত্তর নোয়াখালী পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাপ্তির জন্য প্রকল্পের প্রস্তাবিত প্রথম সংশোধন অনুমোদনযোগ্য।’

সারাবাংলা/জেজে/এমও

নোয়াখালী পল্লী অবকাঠামো উন্নয় প্রকল্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর