রাশিয়ায় সরাসরি পণ্য রফতানিতে সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৯
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে অন্য দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হচ্ছে। জটিলতাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে রাশিয়ার বাজারে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে। তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য সরাসরি রফতানিতে রাশিয়ান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কি’র সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এজন্য বাংলাদেশ রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন এবং কিছু শুল্ক জটিলতার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।’
এ সময় নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কি বলেন, ‘বাংলাদেশকে রাশিয়া বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে রাশিয়ায়। চলমান বাণিজ্য বাধা দূর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। রাশিয়া সরকার চলমান সমস্যাগুলো দূর করতে আন্তরিক। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগি হতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত মানের পণ্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সরবরাহ করতে সক্ষম। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশ রাশিয়াসহ ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন ও সিআইএসভুক্ত অন্যান্য দেশে রফতানি বাড়াতে আগ্রহী।’
উল্লেখ্য, গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৬৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রাশিয়ায় রফতানি করেছে। একই সময়ে দেশটি আমদানি করেছে ৪৬৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এ সময় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম