ঢাকা: ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এই দাবি নিয়ে তারা রাজধানীর শাহবাগ থানায় গিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী শাহবাগ থানায় যান। তারা সেখানে এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেবেন। একইসঙ্গে ইভানার সঙ্গে যেসব অন্যায় হয়েছে, তার কিছু প্রমাণপত্রও তারা থানায় জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ইভানার মৃত্যুর ঘটনাটি অস্বাভাবিক। তার স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে তাকে। ইভানাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।
ওই আইনজীবী বলেন, আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চাই। তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন-
- দুই ভবনের মাঝে পড়ে ছিল ইভানার মরদেহ
- স্কলাসটিকা কর্মকর্তা ইভানার মৃত্যুর নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- ইভানাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ‘প্রেমিকা’র সঙ্গে কথা বলতেন রুম্মান
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরীবাগের দুই ভবনের মাঝখান থেকে ইভানার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
ইভানা লায়লা চৌধুরী স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি উত্তরা ও মিরপুর শাখার স্কলাস্টিকা স্কুলের ইউনিভার্সিটি প্লেসমেন্ট সার্ভিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব করতেন। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসানের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
ইভানার পরিবারের অভিযোগ, ইভানার স্বামী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মাহমুদ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ইভানা বছরখানেক আগেই বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে নিগ্রহের শিকার হন ইভানা। এছাড়া ইভানাকে তার স্বামী নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাইয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবারের অভিযোগ, এক বছর ধরে বয়ে চলা মানসিক যন্ত্রণা, ডিভোর্সের হুমকি, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের পাশাপাশি ঘুমের ওষুধ ইভানাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।