Monday 30 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নার্সিং কলেজের কর্মচারী হত্যার দায়ে ২ ফার্নিচার মিস্ত্রির ফাঁসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৩০ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৩৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ২০১৮ সালে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কলেজের হাউজ কিপার মরিয়ম খাতুন হত্যা মামলায় দুই ফার্নিচার মিস্ত্রিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন— অমিত হাসান ও ইউসুফ আলী ওরফে ঠান্ডা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকার আদালত আসামিদের উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ৬ মার্চ সকালে মরিয়ম খাতুন ও তার স্বামী আব্দুল হান্নান দারুস সালামের বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। বিকেলে অফিস শেষে মরিয়ম খাতুন বাসায় ফেরেন। পরে আব্দুল হান্নান বাসায় ফিরে মরিয়ম খাতুনের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ রুমে পড়ে থাকতে দেখেন।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় মরিয়মের ছোট ভাই রেজাউল করিম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর মরিয়মের ফোনের কললিস্টের মাধ্যমে অমিত হাসান ও ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ৪ মার্চ অমিত হাসানকে বাসার আলনা ঠিক করে দেওয়ার জন্য ফোন দেন মরিয়ম খাতুন। ৬ মার্চ আলনা ঠিক করে দেবে বলে মরিয়মকে জানান তিনি। তখন আসামিরা পরিকল্পনা করেন, মরিয়মকে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করবেন।

এ উদ্দেশ্যে দু’টি ছুরি কেনেন অমিত ও ইউসুফ। ৬ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মরিয়মের ফোন পেয়ে তারা বাসায় যান। ছুটিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে তারা মরিয়মকে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার বের করে দিতে বলেন। মরিয়ম এসময় চিৎকার করলে অমিত হাসান পেটে ও ইউসুফ গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মরিয়ম খাতুন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩১ মে এই দু’জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. যোবায়ের।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

২ জনের মৃত্যুদণ্ড নার্সিং কলেজের কর্মচারী হত্যা মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর