Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যতদিন বেঁচে থাকব, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:২৪

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যে আজও আমি কাজ করে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকব, মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬ তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্বে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার এই মহান সংস্থার সামনে বিগত প্রায় ৪৬ বছর আগে আমার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরতে চাই। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে একদল বিপথগামী ঘাতক আমার পিতা, বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার স্নেহময়ী মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল, ১০-বছরের শেখ রাসেল, চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও নিকটাত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ও আমার ছোটবোন শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে যাই। আমাদের ৬ বছর দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি। দেশে ফিরে আমি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুরু করি। জাতির পিতার স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যে আজও আমি কাজ করে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকব, মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আগের বছরগুলোর মতোই বাংলা ভাষায় তার ভাষণ দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর বৈশ্বিক উদ্যোগের ঘাটতির বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। একইসঙ্গে এটি বৈশ্বিক সংহতি ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরেও আলোকপাত করেছে। সর্বজনীন বিষয়গুলোতে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নতুন নতুন অংশীদারিত্ব ও সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন অঞ্চলের সদস্য দেশগুলো এই জাতিসংঘের মঞ্চ থেকেই তা শুরু করতে পারে। তবেই আমরা সহনশীল ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অর্থবহ সহযোগিতা অর্জন করতে পারব। এই ক্রান্তিলগ্নে জাতিসংঘই হোক আমাদের ভরসার সর্বোত্তম কেন্দ্রস্থল। আসুন, সেই ভরসাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রত্যয়ে আমরা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে একযোগে কাজ করি।’

সারাবাংলা/এনআর/একে/আইই

জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর