ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না করায় হাইকোর্টের ক্ষোভ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১৭
ঢাকা: জমি সংক্রান্ত মামলার রায়, ডিক্রি ও আপিল নিষ্পত্তির জন্য ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীর পক্ষে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধ পূর্ণ সাড়ে চার কাঠা জমির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ঘটনায় দায়ের করা এক রিটের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নসীব কায়সার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটের শুনানিতে আদালত বলেছেন, ‘২০০৪ সালে আইন হয়েছে। আছে আদালতের রায় ও নির্দেশনাও রয়েছে। তার পরও ১৭ বছরেও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন হলো না, যা আদালতের জন্য বিরক্তিকর।’
রিটকারী মো. আশরারুল আজিম ডেমরায় সাড়ে চার কাঠা জমি নিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের দু’টি রায় ও সিদ্ধান্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত স্থিতাবস্থা ও রুল জারি করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্যে করে আদালত বলেন, ‘১৭ বছরেও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারেননি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, জানান। ব্যবস্থা না নেওয়া হয়ে থাকলে প্রয়োজনে সচিবকে ডেকে আনা হবে।’
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ‘২০১৩ সালে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
তখন আদালত বলেন, ‘গ্রামারের কথা এই আদালতে বলবেন না।’
২০১৯ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্ট এক রায়ে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রায়ের আদেশ বাস্তবায়ন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু এখনও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
আইনজীবী নসীব কায়সার জানান, ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ২০০৪ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা রয়েছে। সংশোধনীর পর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও আপিল ট্রাইব্যুনাল এখনো গঠন করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, যদি আপিল ট্রাইব্যুনাল হতো তাহলে আমাদের হাইকোর্টে আসতে হতো না। আর হাইকোর্টে এসব মামলার জট বাড়তো না। এ কারণে আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও