প্রশ্নফাঁস ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪৮
ঢাকা: ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রয় ও মারধরের অভিযোগে আরও এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় এ সব সুপারিশ করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থীর একজন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. রাকিব হাসান এবং অন্যজন একই বর্ষের ভূতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ইশরাক হোসেন।
অন্যদিকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশপ্রাপ্ত আকতারুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রয়ের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ চাঁদা না পেয়ে রাজধানীর চানখাঁরপুলে অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক ওয়ার্ড বয়কে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় হওয়া মামলা হয় আকতারুল করিমের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জনের মধ্যে ৮৫ জনকে এর আগে তিন দফায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার বাকি দুই শিক্ষার্থীকেও বহিষ্কার করা হলো।
সারাবাংলা/আইইআর/একে