‘পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে’

পরমাণু অস্ত্রের হুমকি বা ব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর, শর্তহীন ও বৈষম্যহীন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এই অস্ত্রধারী দেশগুলোর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। মানবজাতির কল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের সাইড লাইনে আয়োজিত উচ্চ-স্তরের এক স্মারক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. মোমেন পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতি সাংবিধানিক অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই অস্ত্র ব্যবহারের বিপজ্জনক পরিণতি স্বীকার করে তিনি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনুৎপাদনশীল অস্ত্র-শস্ত্রের পিছনে অর্থহীন বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, এসডিজি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার মতো সমস্যার সমাধানের জন্য বিশ্বের সীমিত সম্পদ ব্যবহার পুনর্বিন্যাসের আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গুটিকয়েক রাষ্ট্রের চিরস্থায়ীভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ধারণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ প্রাণঘাতী অস্ত্রের এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মানবতার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য মারাত্মক হুমকি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের কবল থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এটি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং আনুগত্যের ভিত্তি তৈরি করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ ও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

ড. এ কে আবদুল মোমেন পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার পররাষ্ট্রমন্ত্রী