হালদায় ফের মরা ডলফিন, মৃত্যুর কারণ শনাক্ত হয়নি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে হালদা নদীতে মৃত অবস্থায় ভাসমান একটি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট বড়ুয়াপাড়া এলাকায় হালদা নদীতে নৌ পুলিশের টহল দল মৃত ডলফিনটিকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ সেটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরিতে হস্তান্তর করেন।
ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে জানান, গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনটির ওজন আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ কেজি। লম্বায় প্রায় ৫৯ ইঞ্চি। তবে সেটি পচে যাওয়ায় শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না কিংবা কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটা শনাক্ত করা যায়নি।
‘হতে পারে, বয়স পরিপূর্ণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেটি মারা গেছে। ডলফিনটি পচে গিয়ে শরীরের ওপর থেকে চামড়া প্রায় ঝরে গেছে। আমরা শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা এমন কিছু শনাক্ত করতে পারিনি। আমরা ল্যাবরেটরিতে এনে সেটিকে মাটিচাপা দিয়েছি। পরবর্তীতে এর কঙ্কাল আমরা গবেষণায় ব্যবহার করব’, বলেন মনজুরুল কিবরিয়া।
গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিরে বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। হালদা নদী থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষসহ ৩০টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এরপর চলতি বছরের ৬ জুলাই একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায় হালদা নদীর শাখা খালে। এরপর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আরেকটি পাওয়া গেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দু’টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
সারাবাংলা/আরডি/এমও