‘দেশে সাংবিধানিকভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে’
৩ অক্টোবর ২০২১ ২২:৪৫
ঢাকা: দেশে গণতন্ত্রের নামে সাংবিধানিকভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই কাউকেই দোষারোপ করা যায় না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের প্রায় ৯০ শতাংশ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির হাতে। তাই বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না।
রোববার (৩ অক্টোবর) জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সাবেক সিনিয়র জিএম সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
জি এম কাদের বলেন, দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তাই দেশের রাজনীতিতে দলগুলো টিকতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের মানুষ রাজনীতিতে আসবে না, ভোটকেন্দ্রে মানুষ ভোট দিতে যাবে না। সরকারের ফরমায়েশ মোতাবেক নামে মাত্র দল থাকবে, নেতা থাকবে। সেসব দলের বা নেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত সংগঠন থাকবে না বা দেশের মানুষের সমর্থন থাকবে না।
সরকারের পাশাপাশি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়েও কথা বলেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তারাই নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে।
জাতীয় পার্টি খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের আরও বলেন, ১৯৯১ সালের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং প্রায় ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হয়েছে ও ক্রমান্বয়ে অবনতির মাত্রা বাড়ছে। তাই দেশের মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে একবুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। এ কারণেই প্রতিদিনই সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জাতীয় পার্টির পতাকাতলে সামিল হচ্ছেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম এম নিয়াজ উদ্দিন, জহিরুল হক জহির, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, তথ্য সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির শাওন, জিয়াউর রহমান বিপুল, অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক, সাইফুল ইসলাম শোভন, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, বুলবুল, শিপন, ছাত্রসমাজের মোসলেম মিয়াজীসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর