নভেম্বরের মধ্যেই আসছে ফাইজারের ৭১ লাখ, মডার্নার ১৮ লাখ ভ্যাকসিন
৪ অক্টোবর ২০২১ ০০:১৯
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে নভেম্বর মাসের মধ্যেই যুক্ত হতে যাচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেকের ৭১ লাখ ডোজ ও মডার্নার ১৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুদান হিসেবে এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে।
দেশে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা শাখার (আইইডিসিআর) কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর রোববার (৩ অক্টোবর) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুদান হিসেবে দেশে ৭১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে নভেম্বর মাসের মধ্যেই। এর মধ্যে ১৮ লাখ থাকবে মডার্নার ভ্যাকসিন। বাকি ৭১ লাখ ভ্যাকসিন ফাইজার কোম্পানির। এই ভ্যাকসিনগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুদান হিসেবে এলেও এগুলো বিতরণ হচ্ছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমাদের আসলে ভ্যাকসিনের ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। নিবন্ধনের পরে যখন যার যে ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ আসবে, তাকে সেই ভ্যাকসিনই নিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিতেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ সংক্রমণ আর বাড়বে না— এ কথা কিন্তু কেউই বলতে পারবে না।
ডা. আলমগীর আরও বলেন, দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের জন্মনিবন্ধন সনদ বা প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা পাঠানোর পরে ভ্যাকসিন দেওয়ার সুপারিশ করেছে ইউজিসি। তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের মজুত আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে কোভ্যাক্স দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ৪০ শতাংশের জন্য ভ্যাকসিন দিতে রাজি হয়েছে। অর্থাৎ কোভ্যাক্স থেকেই এখন ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ আসবে ডিসেম্বরের মধ্যে। এ সময়ে অন্যান্য মাধ্যম (চীন ও ভারত থেকে কেনা) থেকেও ভ্যাকসিন আসবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী আমরা ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর অনুরোধ জানালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক পর্যায়ক্রমে দ্রুতই ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকেও আমাদের ভ্যাকসিন কেনার কাজটি চলমান থাকবে।
বিশ্বজুড়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে ভ্যাকসিন বণ্টনে কাজ করছে কোভ্যাক্স (কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি)। কোভ্যাক্সে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন ও দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য, ভ্যাকসিন মজুত না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর