Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে আ.লীগ নেতার নাম বাদ দেওয়ায় রুল জারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ অক্টোবর ২০২১ ১৫:১৩

ফাইল ছবি

ঢাকা: টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের নাম দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়াকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, শিবলী সাদিকসহ সংশ্লিষ্ট ছয় জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে টেস্ট রিফিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে ২০১৭ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের অনুসন্ধান শেষে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রমাণিত না হওয়ায় তার নাম বাদ দিয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

টিআর ও কাবিটা প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) শেখ ফাইয়াজ আলমের সই করা চিঠিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তির (এম শিবলী সাদিক) বিরুদ্ধে উল্লেখিত বিষয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এরপর এ বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল (৩ অক্টোবর) দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম থেকে শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম।

শুনানিতে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুদকের মামলায় পাঁচ বছর সাজা হয়। এরপর হাইকোর্টে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের এ নেতার নাম দুদকের অনুসন্ধান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যেখানে পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি এই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিয়েছেন।

রিটকারি আইনজীবী এম আশরাফুল বলেন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বরাদ্দকৃত টিআর এর ২৭ লাখ টাকা দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিক ও তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।

দুস্থ, অসহায় পরিবার ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টিআর বরাদ্দ দেওয়ার বিধান থাকলেও দেলদুয়ারে চলছে হরিলুট। বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান করে দুদক তার নামসহ অভিযোগটিও বাতিল করে দেয়।

এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। আজ আদালত আমার আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ

হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর