সীমান্তবর্তী ৩ ইউনিয়নে নৌকা চান ১৭ জন
৬ অক্টোবর ২০২১ ০৯:১৩
হিলি (দিনাজপুর): সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদে (আলীহাট, খট্টামাধবপাড়া, বোয়ালদাড়) ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন স্তরের ১৭ নেতা-কর্মী সক্রিয় হয়েছেন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রান্তিক জমায়েতগুলোতে এ নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার পর নতুন পুরাতন মিলে কয়েক ডজন প্রার্থী নিজেদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে এক নম্বর খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নেই পাঁচ জন নৌকার জন্য লড়াই করছেন। এদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কাওছার রহমান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি আজিজার রহমান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হরুন উর রশিদ রয়েছেন।
দুই নম্বর বোয়ালদাড় ইউনিয়নেও পাঁচ জন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে গেলো নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করা প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সদরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলী খান, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম (ডাবলু), আওয়ামী লীগ নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুল হান্নান।
তিন নম্বর আলিহাট ইউনিয়নের চিত্র একটু ব্যতিক্রম। এখানে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী সাত জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য গোলাম রসুল (বাবু), আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদুজামান (সাহেব) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শ্রী সুমন মন্ডল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম (রভি)।
জানতে চাইলে হাকিমপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, দ্বিতীয় ধাপে হাকিমপুর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য বেশকিছু নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দলের সঙ্গে অনেকদিন ধরে জড়িত এবং ত্যাগী কর্মীরা মূল্যায়িত হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদ সদস্য (দিনাজপুর-৬) শিবলী সাদিক এমপি বলেন, তার এলাকায় টাকার বিনিময়ে টিকিট পাবার কোনো সুযোগ নেই। যারা দলের জন্য শ্রম দেন, ত্যাগ স্বীকার করেন তারাই নৌকা পাওয়ার যোগ্য।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ করে তিন ইউনিয়নে ১৭ জনের মনোনয়ন চাওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করেছেন ওই এমপি।
সারাবাংলা/একেএম