রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কাজে যোগ দিচ্ছে জাতিসংঘ, চুক্তি শনিবার
৬ অক্টোবর ২০২১ ২২:৪০
ঢাকা: নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের। শনিবার (৯ অক্টোবর) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে সরকারের এ সমঝোতা স্মারক সই হবে। ভাসানচরে এরইমধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নেওয়া হয়েছে। আরও ৮০ হাজার নিয়ে যাব। এ ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর আগে যেভাবে কাজ করেছে, একইভাবে কাজ করে যাবে, এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক হবে। আশা করি, অক্টোবরের শেষ দিকে কাজ শুরু করব। ভাসানচরে এক লাখের অ্যাকোমোডেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আপাতত এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, নির্বাচনের সুযোগসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে জাতিসংঘ। এ সব শর্তের আংশিক মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও সরকারের মধ্যে সমঝোতা সই হবে।
রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ সমঝোতা স্মারকে শনিবার ইউএনএইচসিআরের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সই করার কথা রয়েছে। ভাসানচরে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে।
এপ্রিলের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায় সরকার। ভাসানচরে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এরইমধ্যে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ৪ ডিসেম্বর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা শুরু হয়। রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নেওয়ার ব্যাপারে শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিল জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালে এবং তারও আগে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে এখন ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের এই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যেখানে আপাতত এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/একে